
এবার এস্টোরিয়ায় এক বাংলাদেশিকে গুলি করে আহত করেছে আরেক বাংলাদেশি। আহত সাব্বির একজন রেস্টুরেন্ট কর্মী। তিনি এখন হাসপাতালে। তিনি এস্টোরিয়ার বৈশাখী রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। ওই রেস্টুরেন্টে ঢুকে সাব্বিরকে গুলি করে মুখোশধারী এক বাংলাদেশি। হামলাকারীকে পুলিশ খুঁজছে। ইতিমধ্যে তারা জানতে পেরেছে কে এই হামলাকারী। ওই হামলাকারীকে খুঁজতে তারা তার বাবা-মায়ের বাসায়ও গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে জানতে পারে, তিনি সেখানে থাকেন না। পুলিশ তার বাবা-মাকে ওই সময় বাসায় পায়নি। তবে হামলাকারীর পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
হামলাকারীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীর বয়স ২৫-২৬ বছর। ২০১৮ সাল থেকে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন না। পরিবারের সঙ্গে তার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ২০১৮ সালে একটি বড় ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি পরিবারের বাইরে থাকেন। তার বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেছেন তাকে তাদের সঙ্গে রাখার কিন্তু কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি। ফলে পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ৩ জুন শনিবার সাব্বির এস্টোরিয়ার বৈশাখী রেস্টুরেন্টে কাজ করছিলেন। সেখানেই ৩৬ অ্যাভিনিউ ও ৩০ স্ট্রিটে এ ঘটনা ঘটে।
এস্টোরিয়ার মালিক ঘটনার পর মিডিয়ার কাছে বলেন, সিসিটিভির ক্যামেরায় হামলারকারীর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। বৈশাখী রেস্টুরেন্টের পাশের একটি গেট থেকে হামলাকারী ব্যক্তি বের হয়ে আসে। তার পরনে ছিল লাল হুডি ও কালো প্যান্ট। তিনি পাশের গেট থেকে বের হয়ে আসার পর রেস্টুরেন্টে ঢুকে গুলি করেন। এতে সাব্বির আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে এখন তিনি চিকিৎসাধীন। ওই রেস্টুরেন্টটি যখন চালু হয়, তখন থেকেই সাব্বির কাজ শুরু করেন। হামলাকারীর সঙ্গে সাব্বিরের কোনো বিরোধ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মালিক এটিও বলেছেন, সাব্বিরের সঙ্গে তার কোনো কাস্টমারের এমনকি হামলাকারীর কখনো কোনো বাগ্্বিতণ্ডা হয়েছে বলেও তার জানা নেই।
সূত্র জানায়, হামলাকারীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সাব্বির হামলাকারীকে চেনেন কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে এর আগেও ওই রেস্টুরেন্টে একটি হামলার ঘটনা ঘটে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মুখোশধারী ওই ব্যক্তি ক্রেতা সেজে রেস্টুরেন্টে ঢোকেন। সেখানে একজনকে বেসবলের ব্যাট দিয়ে আক্রমণ করেন। ওই সময় অপর কাস্টমাররা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি বের হয়ে যাওয়ার সময় রেস্টুরেন্ট কিছু জিনিস ভাঙচুর করেন।
ওই সময়ে ঘটনাটি শেষ হয়ে গেছে মনে করা হলেও তা হয়নি। শনিবার সাব্বিরের ওপর হামলা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেখানকার ভিডিও ফুটেজসহ আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখে। হামলাকারী শনিবার দুপুরের পর রেস্টুরেন্টে ঢুকেই ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে এবং ক্যাশিয়ার সাব্বিরকে গুলি করে। এই সময় সাব্বির কাচে ঘেরা কাউন্টারের ভেতরে ছিলেন। তার পরও রক্ষা পাননি। তার গুলি লাগে। ঘটনার সময় রেস্টুরেন্টে অবস্থানরত কাস্টমাররা তাৎক্ষণিক সেখান থেকে বাইরে বের হয়ে যান ও প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন। এই সময় সাব্বিরের শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। গুলি করার পর হামলাকারী রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করে। রেস্টুরেন্টের মালিক গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, সাব্বিরের কোমরেও গুলি লেগেছে। হামলার সময় তিনি কিচেনে ছিলেন। হামলাকারী গুলি চালিয়ে সাব্বিরকে আহত করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে যিনি গুলি করেছেন, তার পারিবারিক সূত্র জানায়, তার বাবারও একটি গ্রোসারি স্টোর রয়েছে। ঘটনার সময় তার বাবা-মা গ্রোসারিতেই ছিলেন। সূত্র জানায়, এই হামলার ঘটনায় যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে ও পুলিশ যাকে খুঁজছে, তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করতে পারেন পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে। মূলত তার খালাতো বোনকে এলাকার গ্যাংরা উত্ত্যক্ত করে। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার পুরো বিবরণ পাওয়া যায়নি।
তার পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, হামলকারীর খালাতো বোন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। ওই খালাতো বোনের বাবা মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার কারণে পরিবারটি অনেকটাই কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। এলাকায় ১৪-১৫ জনের একটি গ্যাং আছে। ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা তার খালাতো বোনকে নিয়ে কথা বলে ও টিজ করে। এটা তার কানে আসে। তিনি ঘটনাটি সহ্য করতে পারেননি। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। মূলত তার খালাতো বোনকে যারা টিজ করেছে, তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই এই গুলির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তার কাছে লাইসেন্স করা কোনো পিস্তলও রয়েছে কি না জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, তার কাছে পিস্তল আছে কি না তা আমার জানা নেই। ছেলে বাসায় কেন থাকে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে একটি ঘটনা ঘটেছিল, এর পর থেকে ছেলে বাসায় থাকে না। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করতে তাকে খুঁজে বের করার জন্য আমাদের বাসায়ও এসেছিল। তাকে খুঁজে না পেয়ে তারা চলে যায়।
এদিকে ওই রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনা ঘটার পর সেখানে ও এর আশপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থাও। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হামলাকারীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীর বয়স ২৫-২৬ বছর। ২০১৮ সাল থেকে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন না। পরিবারের সঙ্গে তার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ২০১৮ সালে একটি বড় ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি পরিবারের বাইরে থাকেন। তার বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেছেন তাকে তাদের সঙ্গে রাখার কিন্তু কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি। ফলে পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ৩ জুন শনিবার সাব্বির এস্টোরিয়ার বৈশাখী রেস্টুরেন্টে কাজ করছিলেন। সেখানেই ৩৬ অ্যাভিনিউ ও ৩০ স্ট্রিটে এ ঘটনা ঘটে।
এস্টোরিয়ার মালিক ঘটনার পর মিডিয়ার কাছে বলেন, সিসিটিভির ক্যামেরায় হামলারকারীর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। বৈশাখী রেস্টুরেন্টের পাশের একটি গেট থেকে হামলাকারী ব্যক্তি বের হয়ে আসে। তার পরনে ছিল লাল হুডি ও কালো প্যান্ট। তিনি পাশের গেট থেকে বের হয়ে আসার পর রেস্টুরেন্টে ঢুকে গুলি করেন। এতে সাব্বির আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে এখন তিনি চিকিৎসাধীন। ওই রেস্টুরেন্টটি যখন চালু হয়, তখন থেকেই সাব্বির কাজ শুরু করেন। হামলাকারীর সঙ্গে সাব্বিরের কোনো বিরোধ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মালিক এটিও বলেছেন, সাব্বিরের সঙ্গে তার কোনো কাস্টমারের এমনকি হামলাকারীর কখনো কোনো বাগ্্বিতণ্ডা হয়েছে বলেও তার জানা নেই।
সূত্র জানায়, হামলাকারীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সাব্বির হামলাকারীকে চেনেন কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে এর আগেও ওই রেস্টুরেন্টে একটি হামলার ঘটনা ঘটে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মুখোশধারী ওই ব্যক্তি ক্রেতা সেজে রেস্টুরেন্টে ঢোকেন। সেখানে একজনকে বেসবলের ব্যাট দিয়ে আক্রমণ করেন। ওই সময় অপর কাস্টমাররা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি বের হয়ে যাওয়ার সময় রেস্টুরেন্ট কিছু জিনিস ভাঙচুর করেন।
ওই সময়ে ঘটনাটি শেষ হয়ে গেছে মনে করা হলেও তা হয়নি। শনিবার সাব্বিরের ওপর হামলা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেখানকার ভিডিও ফুটেজসহ আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখে। হামলাকারী শনিবার দুপুরের পর রেস্টুরেন্টে ঢুকেই ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে এবং ক্যাশিয়ার সাব্বিরকে গুলি করে। এই সময় সাব্বির কাচে ঘেরা কাউন্টারের ভেতরে ছিলেন। তার পরও রক্ষা পাননি। তার গুলি লাগে। ঘটনার সময় রেস্টুরেন্টে অবস্থানরত কাস্টমাররা তাৎক্ষণিক সেখান থেকে বাইরে বের হয়ে যান ও প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন। এই সময় সাব্বিরের শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। গুলি করার পর হামলাকারী রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করে। রেস্টুরেন্টের মালিক গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, সাব্বিরের কোমরেও গুলি লেগেছে। হামলার সময় তিনি কিচেনে ছিলেন। হামলাকারী গুলি চালিয়ে সাব্বিরকে আহত করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে যিনি গুলি করেছেন, তার পারিবারিক সূত্র জানায়, তার বাবারও একটি গ্রোসারি স্টোর রয়েছে। ঘটনার সময় তার বাবা-মা গ্রোসারিতেই ছিলেন। সূত্র জানায়, এই হামলার ঘটনায় যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে ও পুলিশ যাকে খুঁজছে, তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করতে পারেন পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে। মূলত তার খালাতো বোনকে এলাকার গ্যাংরা উত্ত্যক্ত করে। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার পুরো বিবরণ পাওয়া যায়নি।
তার পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, হামলকারীর খালাতো বোন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। ওই খালাতো বোনের বাবা মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার কারণে পরিবারটি অনেকটাই কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। এলাকায় ১৪-১৫ জনের একটি গ্যাং আছে। ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা তার খালাতো বোনকে নিয়ে কথা বলে ও টিজ করে। এটা তার কানে আসে। তিনি ঘটনাটি সহ্য করতে পারেননি। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। মূলত তার খালাতো বোনকে যারা টিজ করেছে, তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই এই গুলির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তার কাছে লাইসেন্স করা কোনো পিস্তলও রয়েছে কি না জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, তার কাছে পিস্তল আছে কি না তা আমার জানা নেই। ছেলে বাসায় কেন থাকে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে একটি ঘটনা ঘটেছিল, এর পর থেকে ছেলে বাসায় থাকে না। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করতে তাকে খুঁজে বের করার জন্য আমাদের বাসায়ও এসেছিল। তাকে খুঁজে না পেয়ে তারা চলে যায়।
এদিকে ওই রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনা ঘটার পর সেখানে ও এর আশপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থাও। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।