অন্তরালের আলোচনায় আবারও জামায়াত। ভাও বুঝে দাও মেরেছে দলটি। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে শান্ত-সুবোধ হয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে যায় জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল। তালগোলটা পাকিয়ে দেয় অতি উৎসাহী পুলিশ। কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে যাওয়া জামায়াতের চার নেতাকে আটক করে পুলিশ এমন এক অবস্থা করে, যেন দুর্ধর্ষ-ভয়ংকর কাউকে ধরেছে। কেবল ধরা পর্যন্ত নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালান করে দেয় পাশের রমনা থানায়। সেখান থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় সন্ধ্যার পর। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জামায়াতের আমিরের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ৫ জুন বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করতে চেয়েছিল জামায়াত। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চাইতে ডিএমপি কার্যালয়ের ফটকে যাওয়া মাত্র তাদের পাকড়াও করে ফেলা হয়।
জামায়াত এবং তাদের নেপথ্য পরামর্শকেরা এমন কিছু একটারই অপেক্ষা করছিল। আর ওই চার নেতাই পেশায় আইনজীবী। সাইফুর রহমান, গোলাম রহমান ভূঁইয়া, আবদুল বাতেন ও জালাল উদ্দীন ভূঁইয়া বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নানা পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনাঙ্গনে আলাদা একটা সুনামও অর্জন করেছেন তারা। বিদেশি সম্পর্ক ও যোগাযোগ ভালো। জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের ওই কাণ্ডের তথ্যাদি দেশের গণমাধ্যমে আসার আগেই চাউর হয়ে গেছে ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত জায়গায়। আন্তর্জাতিক মহলেও। এ ধরনের চিকন কাজে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনো অনেকটা পিছিয়ে। মার্কিন ভিসা নীতিতে কোনো দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়াকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কাজে যুক্তদের রেস্ট্রিকশনের আওতায় আনার স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নীতিতে। জামায়াতে ইসলামী সেই সুযোগটা নিয়েছে সূক্ষ্ম-দক্ষ হাতে। তারা তাদের কারাবন্দী নেতাদের আইনি পদক্ষেপ জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কর্মসূচিও দেবে। আগামী নির্বাচনে অন্তত ১০০ আসনে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার মিশনও ঠিক করে নিয়েছে। সরকারের দিক থেকেও জামায়াতকে কোনো না কোনো ফরম্যাটে সংসদে ১০-১২টি সিট দিয়ে হলেও বশে নেওয়ার নানা ছক ও ফাঁদ পাতা হয়েছে।
মাঠে আর শক্তি ক্ষয় না করেও রাজনীতির বাঁকবদলের স্রোতে নিজেদের ভ্যালু তৈরির কাজটি জামায়াতের এখন বিশেষ অ্যাজেন্ডা। যুগপৎ আন্দোলন প্রশ্নে তারা বিএনপিকে ছাড়ছে না। আবার সরকারের শর্তমতো বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করছে না। কৌশলী এ রাজনীতিতে বিএনপির অগ্রগতি জামায়াতের চেয়ে বেশ পেছানো। মাঠের রাজনীতিতে সমর্থন বাড়তে থাকায় বিএনপির এত সূক্ষ্ম পথচলার গরজও কম। মার্কিন স্যাংশন ও ভিসা নীতি ঘোষণার আনন্দে উইন-উইন ভাবচেতনায় মত্ত তারা। ভিসা রেস্ট্রিকশন নীতিতে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হওয়ার কথাও নেই, যা বিরোধীরা বোঝানোর চেষ্টা করছে। আবার এ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও বলা নেই। সরকার এ সুযোগটি না নিয়ে ছাড়ছে না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত।
মার্কিন স্যাংশনের পর রেস্ট্রিকশন পরিস্থিতিতে কার কপাল পুড়বে, কে হবে লাভবান-এ বিষয়ক অঙ্ক-ভূগোল মেলাতে অস্তিত্বের প্রশ্নে সবচেয়ে উতলা সরকার। সমীকরণ মেলানোর নানামুখী চেষ্টারত জামায়াত। কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সুলক্ষণ দেখছে জাতীয় পার্টি। আর বিএনপির বেশি সময় কাটছে স্বস্তিতে। শিগগিরই ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে-এমন একটি তৃপ্তির সাগরে ভাসছে দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে। গণতন্ত্র হুমকির অভিযোগে নীতির সুতায় বিজয় আর বিপর্যয় সমান্তরালে ছুটছে। সরকার একেবারে আশা ছাড়ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রিমেক করার যত ধরনের চেষ্টা আছে, সবই করছে সরকার। চেষ্টার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়ার অনেক বিষয়-আশয়ও রয়েছে। এ কাজে একটুও কমতি করবে না সরকার। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ থাকলেও তিনি যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। একই সময়ে তাকে চীন সফরের আমন্ত্রণের মাঝে দেশটির চিকন কূটনীতির রহস্য তার জানা। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন ওয়েইতো তাকে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়কে কিছু সিগন্যালও দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতির প্রশংসা করে সামনে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস তো দিয়েছেনই।
চীনের দাওয়াত কবুল করে হাতে রাখার পাল্টা কূটনীতি প্রধানমন্ত্রীও করেছেন। সেপ্টেম্বরে জি টোয়েন্টি সামিট সম্মেলন উপলক্ষে ভারত যাওয়ার শিডিউলও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। উপলক্ষ জি সামিট হলেও তার ভারত সফরটির অন্তরালে রয়েছে হাই-প্রোফাইলের বিষয়াদি। গেল কয়েক দফার মতো ভারত ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবে কি না, এর ফয়সালা হবে সফরটিতে। ভারতকে যা দিয়েছি তারা আজীবন মনে রাখবে-এমন কনফিডেন্ট এখনো রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় খাতরা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এর আগে গেল বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, ভারত সরকারকে সেই অনুরোধ তিনি করে এসেছেন। এর ফাঁকেও অনেক কথা রয়ে গেছে। ঘটনাপ্রবাহও গড়িয়েছে অনেক দূর। মার্কিন ভিসা নীতি তথা রেস্ট্রিকশনে তা আরও পেকেছে। বিশেষ করে, মার্কিন রেস্ট্রিকশনের আছর কেবল সরকার নয়, আরও নানা মহলের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ধরনের কথার মধ্য দিয়ে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে রেস্ট্রিকশনে পড়বে’ মর্মে ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার কিঞ্চিৎ চেষ্টা করেছেন মাত্র। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে উচ্চারণ করা হয়েছে আরও কঠিন কথা। তা মোটেই নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে নয়। সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়ায় বরিশালের ডিসির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলা হয়-দেশ এটাই, এ দেশেই তো থাকতে হবে। লুট করে টাকা-পয়সা আমেরিকা নিয়ে যাবেন, সব রেখে দেবে। তাই পরিবেশটা ঠিক রাখতে বলেন।
জামায়াত এবং তাদের নেপথ্য পরামর্শকেরা এমন কিছু একটারই অপেক্ষা করছিল। আর ওই চার নেতাই পেশায় আইনজীবী। সাইফুর রহমান, গোলাম রহমান ভূঁইয়া, আবদুল বাতেন ও জালাল উদ্দীন ভূঁইয়া বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নানা পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনাঙ্গনে আলাদা একটা সুনামও অর্জন করেছেন তারা। বিদেশি সম্পর্ক ও যোগাযোগ ভালো। জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের ওই কাণ্ডের তথ্যাদি দেশের গণমাধ্যমে আসার আগেই চাউর হয়ে গেছে ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত জায়গায়। আন্তর্জাতিক মহলেও। এ ধরনের চিকন কাজে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনো অনেকটা পিছিয়ে। মার্কিন ভিসা নীতিতে কোনো দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়াকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কাজে যুক্তদের রেস্ট্রিকশনের আওতায় আনার স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নীতিতে। জামায়াতে ইসলামী সেই সুযোগটা নিয়েছে সূক্ষ্ম-দক্ষ হাতে। তারা তাদের কারাবন্দী নেতাদের আইনি পদক্ষেপ জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কর্মসূচিও দেবে। আগামী নির্বাচনে অন্তত ১০০ আসনে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার মিশনও ঠিক করে নিয়েছে। সরকারের দিক থেকেও জামায়াতকে কোনো না কোনো ফরম্যাটে সংসদে ১০-১২টি সিট দিয়ে হলেও বশে নেওয়ার নানা ছক ও ফাঁদ পাতা হয়েছে।
মাঠে আর শক্তি ক্ষয় না করেও রাজনীতির বাঁকবদলের স্রোতে নিজেদের ভ্যালু তৈরির কাজটি জামায়াতের এখন বিশেষ অ্যাজেন্ডা। যুগপৎ আন্দোলন প্রশ্নে তারা বিএনপিকে ছাড়ছে না। আবার সরকারের শর্তমতো বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করছে না। কৌশলী এ রাজনীতিতে বিএনপির অগ্রগতি জামায়াতের চেয়ে বেশ পেছানো। মাঠের রাজনীতিতে সমর্থন বাড়তে থাকায় বিএনপির এত সূক্ষ্ম পথচলার গরজও কম। মার্কিন স্যাংশন ও ভিসা নীতি ঘোষণার আনন্দে উইন-উইন ভাবচেতনায় মত্ত তারা। ভিসা রেস্ট্রিকশন নীতিতে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হওয়ার কথাও নেই, যা বিরোধীরা বোঝানোর চেষ্টা করছে। আবার এ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও বলা নেই। সরকার এ সুযোগটি না নিয়ে ছাড়ছে না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত।
মার্কিন স্যাংশনের পর রেস্ট্রিকশন পরিস্থিতিতে কার কপাল পুড়বে, কে হবে লাভবান-এ বিষয়ক অঙ্ক-ভূগোল মেলাতে অস্তিত্বের প্রশ্নে সবচেয়ে উতলা সরকার। সমীকরণ মেলানোর নানামুখী চেষ্টারত জামায়াত। কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সুলক্ষণ দেখছে জাতীয় পার্টি। আর বিএনপির বেশি সময় কাটছে স্বস্তিতে। শিগগিরই ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে-এমন একটি তৃপ্তির সাগরে ভাসছে দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে। গণতন্ত্র হুমকির অভিযোগে নীতির সুতায় বিজয় আর বিপর্যয় সমান্তরালে ছুটছে। সরকার একেবারে আশা ছাড়ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রিমেক করার যত ধরনের চেষ্টা আছে, সবই করছে সরকার। চেষ্টার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়ার অনেক বিষয়-আশয়ও রয়েছে। এ কাজে একটুও কমতি করবে না সরকার। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ থাকলেও তিনি যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। একই সময়ে তাকে চীন সফরের আমন্ত্রণের মাঝে দেশটির চিকন কূটনীতির রহস্য তার জানা। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন ওয়েইতো তাকে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়কে কিছু সিগন্যালও দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতির প্রশংসা করে সামনে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস তো দিয়েছেনই।
চীনের দাওয়াত কবুল করে হাতে রাখার পাল্টা কূটনীতি প্রধানমন্ত্রীও করেছেন। সেপ্টেম্বরে জি টোয়েন্টি সামিট সম্মেলন উপলক্ষে ভারত যাওয়ার শিডিউলও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। উপলক্ষ জি সামিট হলেও তার ভারত সফরটির অন্তরালে রয়েছে হাই-প্রোফাইলের বিষয়াদি। গেল কয়েক দফার মতো ভারত ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবে কি না, এর ফয়সালা হবে সফরটিতে। ভারতকে যা দিয়েছি তারা আজীবন মনে রাখবে-এমন কনফিডেন্ট এখনো রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় খাতরা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এর আগে গেল বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, ভারত সরকারকে সেই অনুরোধ তিনি করে এসেছেন। এর ফাঁকেও অনেক কথা রয়ে গেছে। ঘটনাপ্রবাহও গড়িয়েছে অনেক দূর। মার্কিন ভিসা নীতি তথা রেস্ট্রিকশনে তা আরও পেকেছে। বিশেষ করে, মার্কিন রেস্ট্রিকশনের আছর কেবল সরকার নয়, আরও নানা মহলের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ধরনের কথার মধ্য দিয়ে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে রেস্ট্রিকশনে পড়বে’ মর্মে ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার কিঞ্চিৎ চেষ্টা করেছেন মাত্র। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে উচ্চারণ করা হয়েছে আরও কঠিন কথা। তা মোটেই নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে নয়। সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়ায় বরিশালের ডিসির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলা হয়-দেশ এটাই, এ দেশেই তো থাকতে হবে। লুট করে টাকা-পয়সা আমেরিকা নিয়ে যাবেন, সব রেখে দেবে। তাই পরিবেশটা ঠিক রাখতে বলেন।