সারচার্জ বসছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে

গ্রামাঞ্চলে ট্যাক্স আহরণে প্রাইভেট  এজেন্ট নিয়োগ করা হবে সার্ভিস চার্জ

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩, ০৯:০৩ , অনলাইন ভার্সন
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকেও করের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আইএমএফের শর্তানুযায়ী, বাংলাদেশকে বছরে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা কর বাবদ আদায় করতে হবে। গ্রামীণ জনগণের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা চাপানোর মাধ্যমে সরকার অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। ধনীদের ওপর অধিক পরিমাণে কর বসানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় সরকার লাভবান হলেও সীমিত আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে করের আওতায় আনার পাশাপাশি উচ্চবিত্ত ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ওপর বর্ধিত হারে কর চাপানোর ফলে অর্থনীতিতে, জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, নির্বাচন সামনে রেখে নতুন নতুন ক্ষেত্রে করারোপের ফলে নির্বাচনে ভোটার সাধারণের মধ্যে প্রভাব পড়বে। তবে ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে সীমিত আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্তের ওপর যতটা কম সম্ভব কর বসাতে।
আইএমএফ বাংলাদেশকে মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়েছে। তাদের প্রধান শর্ত হচ্ছে আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব অর্জন করতে হবে। নতুন কর আরোপের মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। এ অর্থ সংগ্রহের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সার চার্জ আরোপ করা হবে। প্রায় প্রতিটি ভোগ্যপণ্য সার চার্জের আওতায় আসবে। অনেক ক্ষেত্রেই সার চার্জের পরিমাণ বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ হবে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে জনজীবনে, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষের ওপর। সামনের নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তেই পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বিদ্যমান আওতায় মূল্যবৃদ্ধিতে দুর্বিষহ জনজীবনে তা আরও কষ্ট বয়ে আনবে। জানা যায়, সাধারণ মানুষের জীবনে যাতে নতুন করে দুর্ভোগ না আসে, সেদিকে বিশেষভাবে সতর্ক থেকেই করারোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নতুন করে ভাবা হচ্ছে। তার পরও অনেক ক্ষেত্রেই নতুন করারোপ হবে ও করের পরিধি, মাত্রা বাড়বে। আইএমএফের শর্তানুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়কে তা করতে হচ্ছে।
জানা যায়, গ্রামের মানুষের মধ্যে কর দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন কিছু কর আরোপ ও করের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। বেসরকারি খাতে এজেন্ট নিয়োগ করে এই কর আদায় করা হবে। একাধিক প্রাইভেট এজেন্ট নিয়োগ করা হবে প্রতিটি ইউনিয়নে। এই এজেন্টদের আদায় করা অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হবে।
অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন ও বিত্তবান, ধনীদের ওপর কর হার, সার চার্জ বাড়ানো হচ্ছে। ধনী করদাতাদের আয়করের ওপর বর্তমানে নিচে ১০ শতাংশ ও উপরে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সার চার্জ আরোপ করা হয়। ব্যক্তি করদাতার সম্পদ ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার মধ্যে থাকলে ওই ব্যক্তিকে ২০ শতাংশ হারে সার চার্জ দিতে হয়। ২০ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদ থাকলে ৩০ শতাংশ হারে সার চার্জ বিদ্যমান। ৫০ কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদ থাকলে ৩৫ শতাংশ হারে সার চার্জ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সার চার্জের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বাড়বে। নিজের নামে যার একাধিক গাড়ি রয়েছে, তাকে বর্ধিত হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় যার আট হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের ফ্ল্যাট, বাসাবাড়ি ও জমি রয়েছে, তাকে ন্যূনতম ২০ শতাংশ হারে সার চার্জ দিতে হবে।
জানা যায়, আগামী বাজেটে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের দেশে সেই অর্থ ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানো হবে। শিল্পকারখানা স্থাপন, বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগের বিদ্যমান আর্থিক সুবিধা সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041