বিরহের শিলালিপি-সুরীত বড়ুয়া

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ১৯:০৭ , অনলাইন ভার্সন
এবিএম সালেহ উদ্দীন

আমি যখন নিউইয়র্কে আসি, তখনকার সাহিত্য ও সংস্কৃতির পরিমণ্ডল তেমন জমজমাট ছিল না। তবে বর্তমানের মতো বিষম চর্বিজাত মাখনমিশ্রিত মেদযুক্ত সাহিত্যের সাড়ম্বরতা না থাকলেও যেটুকু ছিল, নিরেট পরিশুদ্ধ ও পরিশীলিত নির্মোহ সাহিত্যচর্চার চারণক্ষেত্র। তার চেয়ে বেশি ছিল আন্তরিকতার নির্মল আনন্দ। মেধা ও মননের নিষ্কণ্টক বহিঃপ্রকাশ।
এখন শুধু নিউইয়র্কের বাঙালিপাড়াখ্যাত জ্যাকসন হাইটসই নয়, পুরো নিউইয়র্ক শহর বাংলাদেশ ও বাঙালি সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। এখানে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় শিল্প-সংস্কৃতির মনোমুগ্ধকর আয়োজন। আবৃত্তিকার ছাড়াও কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীর বিপুল-বিশদ অনুশীলন।

এই অনুশীলনের একজন নিঃস্বার্থ সহযোদ্ধা আমাদের কবি সুরীত বড়ুয়া। তিনি দীর্ঘদিন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। তিনি আমার বন্ধুসজ্জন। ব্যক্তিগতভাবে ভদ্র, বিনয়ী ও সদা হাস্যময় মানুষ। ধীরে ধীরে তিনি আমাদের আশপাশের মানুষগুলোর সঙ্গে মিশেছেন। তাদের মন ও মননের ভাষা বোঝার চেষ্টা করছেন। তিনি তার কবিতার মাধ্যমে এই মানুষদের বোধ ও বেদনার সঙ্গী হয়ে উঠেছেন। তার কাব্যমালার তেজস্বিতার চেয়ে ঐতিহ্যবোধের সুদীপ্ত আকর্ষণ বলিষ্ঠভাবে ধরা দেয়।
আসলে কবিকে জীবনের যেকোনো কঠিনতম সময়ে সুদৃঢ় অবস্থানে নিঃসংশয় প্রত্যয়বোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হয়। তেমনি সুরীত বড়ুয়ার কবিতার ছন্দময়তার তিমিরবিনাশী সূর্যচেতনায় তিনি আহ্বান করেন :
‘নিরন্তর নিঃশঙ্কিত-স্পন্দিত স্পর্ধায়

উঠে এসো বন্ধু,
অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করো-
অসত্য-অন্যায় মসিলিপ্ত সমাজের
তমস-অন্ধ বিবরে।
কৌরব-নিধনে উদ্যত হও...’

তার কবিতায় দ্রোহ আছে এবং অসংগতি ও অবক্ষয়ী সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং মানবতার স্বার্থে আছে তীব্র উত্তাপ ও প্রতিবাদের ভাষা। তিনি জীবনকে নবচেতনার উদ্দীপনায় জাগিয়ে তুলতে চান। মাঝে মাঝে কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে তিনি কাব্যদর্শনের দীপ্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সুরীত বড়ুয়ার কাব্যভাবনায় নিবিড় বেদনাবোধের বিষণ্নতার মধ্যেও প্রত্যয়বোধের একটা অনিবার্য প্রাণশক্তির আভা পরিলক্ষিত হয়। কখনো তার কবিতায় কঠিনতম কষ্টবোধ ও বিরহকাতরতার অতিবাস্তব চেতনার বহিঃপ্রকাশ, আবার কখনো নিষ্কম্প অনুভবে পৃথিবী ও প্রকৃতির পথচলাকেও সঙ্গে রাখতে ভুল করেন না :
‘এ জীবন ভেসে চলে/ পরিযায়ী পাখির মতো
অনাগত ভবিষ্যতের দিকে,/ পিছনে পড়ে থাকে,
আনন্দের উষ্ণতা,/ দুঃখ বেদনার সন্তাপ।
হঠাৎ সবুজ অরণ্যের হাতছানি,
অফুরন্ত ফুলের সমারোহ।’

তবে এটা স্পষ্ট বোঝা যায়, তার কবিতায় সৃষ্টির আনন্দে ব্যাপৃত ও উচ্ছ্বসিত হওয়ার অঙ্গীকার আছে। আরও আছে রহস্য-রোমান্স প্রকাশেরও প্রবল ইচ্ছা, তেমনি রয়েছে বেদনার নিষিক্ত অনুভব। যেমন ‘কেউ ভালো নেই’ কবিতায় তার সংক্ষুব্ধতার বহিঃপ্রকাশ :

‘এখন আমরা কেউ ভালো নেই,
চৈত্রের দিগন্ত পোড়া রোদ্দুরে-
চৌচির করা ফসলের মাঠের মতো;
বুকফাটা হাহাকার, আর্তনাদ।’
নিজের নম্রধ্বনির নিঃশব্দ উত্তাপে তিনি সতত সঞ্চরণশীল। নিজের সৃষ্টির আলোয় যেমন উচ্ছ্বসিত হন, তেমনি নিয়ত বিচ্ছেদের যন্ত্রজালে ‘বিরহ বিচ্ছেদ’ কার বিরহে বলে ওঠেন :
‘বুঝি নাই তোমার গোপন কান্নায়-
কতটুকু ছিল বুকভরা অভিমান,
প্রিয়-বিচ্ছেদের বিরহব্যথায়
করুণ আর্তনাদে কেঁদেছিল কি প্রাণ?’
কী নিষিক্ত প্রবলতর স্বচ্ছতার দীপ্তি ছড়িয়ে কবির আত্মপরিচয় পরিস্ফুটনের নিঃসংকোচ বহিঃপ্রকাশ। আবার মমতার নির্মোহ যাতনায় একাকী শূন্যতায় ‘মনের ব্যথা’ কবিতায় বলেন :
‘আমি নীরবে-নিঃশব্দে মৌন ঋষির মতো তোমার সমস্ত
রাগ-ক্ষোভ দুঃখ অভিমানকে অন্তরে পুষে রাখি-
সান্ত্বনার শীতল পরশে।
তুমি কখনো বুঝতে চাও না
মনের ক্ষতচিহ্নের তীব্র ব্যথার পরিমাণ
এ আমার নীরব যন্ত্রণার
দুঃসহ পোড়-খাওয়া অভিমান।’

তার কাব্যধারায় ছন্দময়তার পাশাপাশি অভিমান ও কাতরতার নিষ্কম্প পরিস্ফুটন, যার মাধ্যমে কবিতার প্রাণশক্তিকে প্রত্যয়বোধ ও আশাবোধের সঞ্চার করে।
কবিকে সাহিত্যের সকল অনুপম সৌন্দর্যবোধ ও অলংকারের খোঁজ করতে হয়। আমি চাই, সুরীত তার হৃদয় ও উচ্ছ্বসিত 
প্রাণ সঞ্চারণের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের কাব্যজগতে টিকে থাকুন। কেননা কবিতার অভিযাত্রায় তার মাঝে সুন্দরতর মোহনীয়তা লুক্কায়িত আছে। আশা করি, তিনি সেটির পরিস্ফুটন ঘটাবেন।
একজন আত্মনিবেদিত লেখকের যেসব গুণ থাকা দরকার, সুরীত বড়ুয়ার সেই গুণ আছে। তিনি যে একজন সৃষ্টিশীল কবি ও লেখক, তার নির্মল পরিস্ফুটনের অনেক সুযোগ আছে। তিনি যদি কবিতার মধ্যে ডুবে থাকেন, তাহলে পরিশুদ্ধ কবিতার স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিমা ও শব্দবুননের দক্ষতায় তিনি পাঠককে বিমোহিত করে তুলতে পারবেন। কবিতার রহস্য-রোমাঞ্চের মধ্যে বিরহের কাতরতা, ব্যাকুলতার মাঝেও কবিতায় ঝলসে ওঠে অনির্বাণ বেদনার কথা।
কবিতা প্রসঙ্গে লর্ড আলফ্রেড ভালো কবিতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘সব ভালো কবিতাই আমাদের আচ্ছন্ন করে এবং তা আস্তে আস্তে মধুর পরস্পরের সঙ্গে, হৃদয়, রক্ত ও রোদনের সঙ্গে একীভূত করে দেয়।’
কবিতাই মূলত একজন সাহিত্যিকের আসল শক্তি ও চিরায়ত সম্পদ। কাব্যপ্রতিভা, মেধা ও মননশীলতা সাহিত্যের উজ্জ্বলতম ভুবন তৈরি করতে পারে বলে আমার আশাবোধ ব্যক্ত করছি।

সুরীত বড়ুয়ার কবিতায় অধিক পরিমাণ প্রেম-বিরহ, দ্রোহ আছে, মানবতার স্বার্থে এবং অসংগতি ও অবক্ষয়ী সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা আছে, সেটিকে তিনি চিরকালের জন্য সাহিত্যের ভুবনে রোপণ করে যেতে পারেন। যেমন এত স্বপ্ন, এত উচ্ছ্বাসের পরও যখন এই সুন্দর পৃথিবীতে পাশবিকতার বন্যা বয়ে যায়; রাষ্ট্রপুঞ্জের ছত্রচ্ছায়ায় একদল বর্বর অমানুষের পৈশাচিকতায় নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরে; কবি তখন ব্যাকুল বেদনে বিচলিত হয়ে পড়েন। অরক্ষিত বাংলাদেশে নিত্যকার অবক্ষয়, নিপীড়নের শিকারে কত মেধাবী সৃষ্টিশীল মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন, সে রকম একজন মানবতাময়ী সৃষ্টিশীল তরুণী ছিলেন নুসরাত। তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্রী। একজন দুশ্চরিত্রবান অধ্যক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অনেক অনৈতিক কাজ করত। মেধাবী তরুণী নুসরাত সেসবের প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপর তিনি ওই অসভ্যের বর্বরতার শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
সুরীত বড়ুয়া ‘ক্ষমা করো’ কবিতায় তার বেদনাবোধ ও আক্ষেপের বহিঃপ্রকাশে লেখেন :

‘আমাদের ক্ষমা করো নুসরাত, ক্ষমা করো।
বিবেকের তীব্র দহন জ্বালায়-
এখন আমরা জ্বলছি অহর্নিশ,
আমরা সতেরো কোটি তোমার সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারিনি
আমাদের ক্ষমা করো নুসরাত, ক্ষমা করো।’

কিন্তু সমাজের অনাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে না গিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে চলবে না। বরং আমাদের জননী জন্মভূমি বাংলাদেশের অবক্ষয়ী সমাজে যে দুষ্ট সন্ত্রাস-পাশবিকতা গেড়ে বসেছে, তার মূলোৎপাটনে কবিকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। কবিতার সমূহ শব্দের খড়গ এবং শাণিত তলোয়ার নিয়ে দুষ্ট দুরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি দান করতে হবে। দুষ্ট দুষ্কর্মের কাছে মাথা নত না করে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সন্ত্রাস, ধর্মীয় উগ্রবাদী সন্ত্রাস, প্রশাসনিক, দুর্নীতিগ্রস্ত দুর্বৃত্তায়নের সন্ত্রাস, কর্তৃত্ববাদের সন্ত্রাস এবং মানববিধ্বংসী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ পাশবিকতার করুণতম চিত্রসমূহ নতুন কিছু নয়। সমাজের ক্ষমতাবান কর্তাদের মানসিক বৈকল্যজনিত উগ্রতা নিত্যকার বিষয়। তবু কিন্তু সুরীত সেই সব বর্বরতা ও পাশবিকতা দেখে চুপ থাকতে পারেন না। ২০১২ সালে বাংলাদেশের

রামুর বৌদ্ধমন্দিরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে লেখা কবিতায় তিনি উল্লেখ করেন :
আজ আমি-
শোকার্ত জনতার সরণিতে দাঁড়িয়ে,
শত-শতাব্দীর প্রাচীন রামুর বৌদ্ধমন্দিরে
রাতের অন্ধকারে যে-সকল ধর্মান্ধ নরপশু
অগ্নির বহ্ন্যুৎসবে উন্মত্ততা ঘটিয়েছে,
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিবেকবান মানুষের
কাছে প্রশ্ন জানাতে এখানে এসেছি।’

রামুর সেই বর্বরতম ঘটনার জন্য দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু বিচার কতটুকু হয়েছে জানি না। সেই ঘটনার পরও অসংখ্য ঘটনা বাংলাদেশে ঘটে চলেছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের মানববিধ্বংসী সামরিক জান্তা স্বৈরশাসকের ছত্রচ্ছায়ায় সে দেশের দীর্ঘস্থায়ী বাসিন্দা রোহিঙ্গা মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকদের ওপর পৃথিবীর সর্ব নিকৃষ্টতম বর্বরতা ও পাশবিকতা চালিয়েছে। তাদের সহায়-সম্পদ দখল করে পৃথিবীর বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। মিয়ানমার সরকারের বর্বরতায় নিজেদের বাস্তুভিটা, ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা করুণতম জীবনযাপন

করছে। সে বিষয়ে কবি সুরীত বড়ুয়ার কবিতা থাকলে ভালো হতো। বইটি পূর্ণতা পেত। আমার প্রত্যাশা, তিনি আগামীতে মিয়ানমারের উগ্র ধর্মান্ধ মৌলবাদী সরকার ও সন্ত্রাসীদের পাশবিকতা ও বর্বরতার নিন্দা ও সংক্ষুব্ধতা জানিয়ে লিখবেন।
আমাদের বাহিত জীবনের সংকট, বিপন্নতা ও হতাশাদীর্ণ বেদনা থেকে উতরানোর পথ বাতলে দিতে পারেন। কেননা একজন সত্যিকারের কবিকে নানাবিধ বীক্ষণ ও সমাজ নিরীক্ষায় সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। সুরীত বড়ুয়ার কবিতার ভাষা ও শব্দকোষ থেকে মানবিকতার উজ্জ্বলতম প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আবার আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারকরূপে নিবিড় ধর্মবোধও তার কবিতার জমিনকে সৌকর্যময় করে তুলেছে। এই ধর্মবোধ শুধু একপেশে গোড়া-কট্টর বন্দিদশার মধ্যে আবদ্ধ নয়। তার কাব্যবোধ উদারচিত্ত বিনয়াবনত মানবতার আদলে সাজানো। আমার প্রত্যাশা, অতিমাত্রিক আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে কবিতার প্রকৃত প্রেমশক্তির অনুরণন ঘটিয়ে মানবপ্রেমের দৃষ্টান্ত রাখবেন।

কবি সুরীত বড়ুয়া প্রেম-বিরহ ভালোবাসার রোমান্টিকতাপূর্ণ অনেক কাব্যরচনা অন্তর্লোকের কালজয়ী ঐশ্বর্য বিনির্মাণে যে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন; তা প্রশংসনীয়। ‘খড়িমাটি’ প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। উন্নত মানের বাঁধাইয়ে ঝকঝকে ছাপানো সৌকর্যময় অলংকরণ করেছেন কিংশুক দাশ চৌধুরী। কবি তার নিজের পরম শ্রদ্ধাভাজন বাবা ও মাকে উৎসর্গকৃত বইটির মূল্য ২৫০ টাকা।

আশা করি মানুষের অন্তর্নিহিত মনস্তত্ত্বের চিরন্তনী রূপকে নানান আঙ্গিকে, বিচিত্র বৈভবে রূপ দিতে পারবেন। শেষ করার আগে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘একবার তুমি’ কবিতার কটি লাইন মনে পড়ছে। তিনি যেমন আহ্বান করেন :

‘একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো... দেখবে, নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো।’
আসলে কবিতার মূল শক্তি হচ্ছে মানবপ্রেম ও মানুষকে নিঃশর্ত ভালোবাসা। আমাদেরকে নিঃস্বার্থ মানবপ্রেম এবং মানুষকে ভালোবাসতে হবে। শিল্প- সাহিত্যে সুউজ্জ্বল প্রতিভার অধিকারী হিসেবে মননশীল কবি সুরীত বড়ুয়া। আশা করি, তিনি তার প্রতিটি সাহিত্যকর্ম চিরায়ত সম্ভারের ফোটানো গোলাপের স্নিগ্ধতার ঔজ্জ্বল্যের মাধ্যমে আরও বেশি শাণিত করবেন। কবিতার ভুবনকে আলোড়িত করে তুলবেন। তার কবিতা আরও বেশি সুউজ্জ্বল, সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক।

লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041