
যতই দিন যায়, ততই অস্তিত্ব হারাই আমি
ততই বাড়ে একাকিত্ব, মনের মাঝে জাগে অনুরাগ
কবি ‘সুকান্ত’ আমার প্রিয়, কিশোর প্রেমের এক প্রেমিকা
আমায় ভালোবেসে, উপহার দিয়েছিল কবি সুকান্তের কবিতার বই।
সেই থেকে হারাই আমি আজ তার জন্য নেই কোনো আবেগ।
তাই তো বলি দিনে দিনে অস্তিত্ব হারাই আমি।
পরিচিত পথগুলো, নদীর মতন ওদের গতিপথ পরিবর্তন করে
অন্য পথে প্রসারিত, দেয়ালগুলো ছুঁতে পারি না আর, আমার
কোনো অস্তিত্ব ওদের মাঝে নেই, হাজারো দেয়ালের কাছে
এভাবে অস্তিত্ব হারাই আমি।
পরিচিত মহলগুলো ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে
কফি হাউসের আড্ডার মতন ‘হোটেল নিউস্টার, ফার্মগেট’
এর আড্ডাটাও আজ আর নেই, কোথায় মতি নানা, বাপ্পী ভাই,
স্বপন ভাই, মাসুম ভাই, মাইকেল দা, বন্ধু বাচ্চুসহ অনেকে
আজ ওরা কোথায় আমি কোথায়।
ঢাকা শহর, আমার গ্রাম, আমার শহর, আমার জন্ম শৈশব, কৈশোর,
যৌবন, অতঃপর অস্তিত্ব হারানোর পালা,
ধনিয়া, ঝিগাতলা, মানিকনগর, বাড্ডা, গাবতলী, চকবাজার
কোথাও আর দেয়ালে আমার নাম নেই।
একদা সপ্তাহান্তে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ প্রদক্ষিণ না
করলে পেটের ভাত হজম হতো না, আজ কোথায় আমি
কোথায় অস্তিত্ব আমার, তবে কি মৃত আমি, অথবা মৃতের মতন
সময় বলে আমি নিরন্তর, তোমরা চক্রাকার হারাও অস্তিত্ব
আমার মতন হাজারো জন খুঁজে ফেরে অস্তিত্ব
খুঁজে ফেরে বন্ধু, প্রিয়জন, খুঁজে ফেরে শৈশব, কৈশোর আর যৌবন
আফসোস চোখের কোণের অশ্রু যদি ধরতে পারতাম।
যতই দিন যাবে, ততই বাড়তে থাকবে অস্তিত্বের অদৃশ্যায়ন
ঝাপসা হবে মরিচা পড়বে, থেমে থেমে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন
হঠাৎ এসে আছড়ে পড়বে।
আমি নই শুধু একে একে সবাই অস্তিত্ব হারাবে তোমরা
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে, বাকি রাতটুকু অস্তিত্বের সাথেই
করবে বসবাস।
ততই বাড়ে একাকিত্ব, মনের মাঝে জাগে অনুরাগ
কবি ‘সুকান্ত’ আমার প্রিয়, কিশোর প্রেমের এক প্রেমিকা
আমায় ভালোবেসে, উপহার দিয়েছিল কবি সুকান্তের কবিতার বই।
সেই থেকে হারাই আমি আজ তার জন্য নেই কোনো আবেগ।
তাই তো বলি দিনে দিনে অস্তিত্ব হারাই আমি।
পরিচিত পথগুলো, নদীর মতন ওদের গতিপথ পরিবর্তন করে
অন্য পথে প্রসারিত, দেয়ালগুলো ছুঁতে পারি না আর, আমার
কোনো অস্তিত্ব ওদের মাঝে নেই, হাজারো দেয়ালের কাছে
এভাবে অস্তিত্ব হারাই আমি।
পরিচিত মহলগুলো ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে
কফি হাউসের আড্ডার মতন ‘হোটেল নিউস্টার, ফার্মগেট’
এর আড্ডাটাও আজ আর নেই, কোথায় মতি নানা, বাপ্পী ভাই,
স্বপন ভাই, মাসুম ভাই, মাইকেল দা, বন্ধু বাচ্চুসহ অনেকে
আজ ওরা কোথায় আমি কোথায়।
ঢাকা শহর, আমার গ্রাম, আমার শহর, আমার জন্ম শৈশব, কৈশোর,
যৌবন, অতঃপর অস্তিত্ব হারানোর পালা,
ধনিয়া, ঝিগাতলা, মানিকনগর, বাড্ডা, গাবতলী, চকবাজার
কোথাও আর দেয়ালে আমার নাম নেই।
একদা সপ্তাহান্তে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ প্রদক্ষিণ না
করলে পেটের ভাত হজম হতো না, আজ কোথায় আমি
কোথায় অস্তিত্ব আমার, তবে কি মৃত আমি, অথবা মৃতের মতন
সময় বলে আমি নিরন্তর, তোমরা চক্রাকার হারাও অস্তিত্ব
আমার মতন হাজারো জন খুঁজে ফেরে অস্তিত্ব
খুঁজে ফেরে বন্ধু, প্রিয়জন, খুঁজে ফেরে শৈশব, কৈশোর আর যৌবন
আফসোস চোখের কোণের অশ্রু যদি ধরতে পারতাম।
যতই দিন যাবে, ততই বাড়তে থাকবে অস্তিত্বের অদৃশ্যায়ন
ঝাপসা হবে মরিচা পড়বে, থেমে থেমে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন
হঠাৎ এসে আছড়ে পড়বে।
আমি নই শুধু একে একে সবাই অস্তিত্ব হারাবে তোমরা
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে, বাকি রাতটুকু অস্তিত্বের সাথেই
করবে বসবাস।