
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল, আমি রোদ্দুর হতে চাই না।
আমি চাই সূর্যগ্রহণ। সূর্যকে ঢেকে দেবে চাঁদ।
হ্যাঁ, চাঁদ, আমার মরমিয়া মনের মতো মায়াবী চাঁদ।
আমি চাই, হাতি-রঙা কংক্রিটের মেঘ ঢেকে দিক সম্পূর্ণ সূর্য-
সূর্যরশ্মি কেঁদে হোক আকুল।
চাঁদের কাছে আমি বন্ধকি রেখেছিলাম সর্বস্ব-
বিশ্বস্ত চাঁদ ফিরিয়ে দিয়েছে আমার সকল ঋণ।
সারা রাত জেগে ম্যাগনোলিয়ার ফাঁক দিয়ে ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের
গর্বিত মৃত্যু দেখি। চাঁদ মরে যাওয়ার ভান করে
এক পক্ষকালের জন্য। আমি কাঁদতে কাঁদতে গাই-
‘তোমায় নতুন করেই পাব বলে...’
অবশেষে চাঁদ ফিরে আসে রুপালি রেকাবে শিউলি নিয়ে,
আমি শিউলি ফুলে রাগভৈরবী গেঁথে গান গাই।
আদর্শহীনে বিশ্বাস নেই আমার, নেই কোনো মিথ্যুক সুখে
তবু ভ্যানিলা শেখের মতো চাঁদের আলো আমার প্রেম, আমার কবিতা।
নিম ডালের ফাঁক দিয়ে চাঁদ এসে আমাকে নিয়ে গেছে
বলেশ্বরের ধারে। চাঁদ, আমি তোমাকে নিয়েই হেঁটেছি
তোমার চোখে চোখ রেখে।
নদী ফুরিয়ে গেছে, আমাদের হাঁটা শেষ হয়নি,
পাখিরা জানিয়ে গেছে, চাঁদ এখন ঘুমিয়ে পড়বে, তুমি ঘরে যাও।
আমি চন্দ্রাহত হয়ে আবার হাঁটি ইস্ট রিভারের তীরে-
চাঁদ তুমি আমারই আছ সেই থেকে, যুগ-যুগান্তর
বলেশ্বর থেকে বুড়িগঙ্গা হয়ে ইস্ট রিভারের হাওয়া মেখে,
আমি হাঁটলে তুমি হাঁটো, তোমাকে নিয়ে আমি।
কেবল আমরা দুজন। আমাদের কোনো ছায়া নেই।
*****
অমলকান্তি রোদ্দুর চেনেনি, তাই রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।
আমি চিনে ফেলেছি-
সকালে সূর্য ওঠে মাথা নিচু করে বেড়ার ওপর দিয়ে,
রোদ্দুর হয়ে ঢুকে পড়ে যার-তার ড্রইংরুমে, কিচেনে
এমনকি শোবার ঘরে, পর্দার ফাঁক পেলেই।
সব বাড়ির দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ।
রোদ্দুর, তোমার জন্য শরীর পেতে শুয়ে থাকে সহস্র মানুষ
ঘাসে, বালিতে বা তোয়ালে পেতে।
তুমি তাদের শরীরে সাদরে মাখিয়ে দাও সানস্ক্রিন।
সত্যি সত্যি আমি তাই রোদ্দুর হতে চাই না।
হোক অমলকান্তি, আমি তো অমলকান্তি নই।
(ক্ষমা করবেন নীরেন বাবু)।
চাঁদ আমাকে দিয়েছে রাতের মেধাবী সুখ, কেবল আমাকেই।
চাঁদের আলোয় আমি কবিতা লিখি,
জ্যোৎস্নায় জনান্তিকে গল্প আসে চুপি চুপি।
স্নিগ্ধ নৈঃশব্দ্যে আমি-আমি হয়ে উঠি।
আমি চাই সূর্যগ্রহণ। সূর্যকে ঢেকে দেবে চাঁদ।
হ্যাঁ, চাঁদ, আমার মরমিয়া মনের মতো মায়াবী চাঁদ।
আমি চাই, হাতি-রঙা কংক্রিটের মেঘ ঢেকে দিক সম্পূর্ণ সূর্য-
সূর্যরশ্মি কেঁদে হোক আকুল।
চাঁদের কাছে আমি বন্ধকি রেখেছিলাম সর্বস্ব-
বিশ্বস্ত চাঁদ ফিরিয়ে দিয়েছে আমার সকল ঋণ।
সারা রাত জেগে ম্যাগনোলিয়ার ফাঁক দিয়ে ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের
গর্বিত মৃত্যু দেখি। চাঁদ মরে যাওয়ার ভান করে
এক পক্ষকালের জন্য। আমি কাঁদতে কাঁদতে গাই-
‘তোমায় নতুন করেই পাব বলে...’
অবশেষে চাঁদ ফিরে আসে রুপালি রেকাবে শিউলি নিয়ে,
আমি শিউলি ফুলে রাগভৈরবী গেঁথে গান গাই।
আদর্শহীনে বিশ্বাস নেই আমার, নেই কোনো মিথ্যুক সুখে
তবু ভ্যানিলা শেখের মতো চাঁদের আলো আমার প্রেম, আমার কবিতা।
নিম ডালের ফাঁক দিয়ে চাঁদ এসে আমাকে নিয়ে গেছে
বলেশ্বরের ধারে। চাঁদ, আমি তোমাকে নিয়েই হেঁটেছি
তোমার চোখে চোখ রেখে।
নদী ফুরিয়ে গেছে, আমাদের হাঁটা শেষ হয়নি,
পাখিরা জানিয়ে গেছে, চাঁদ এখন ঘুমিয়ে পড়বে, তুমি ঘরে যাও।
আমি চন্দ্রাহত হয়ে আবার হাঁটি ইস্ট রিভারের তীরে-
চাঁদ তুমি আমারই আছ সেই থেকে, যুগ-যুগান্তর
বলেশ্বর থেকে বুড়িগঙ্গা হয়ে ইস্ট রিভারের হাওয়া মেখে,
আমি হাঁটলে তুমি হাঁটো, তোমাকে নিয়ে আমি।
কেবল আমরা দুজন। আমাদের কোনো ছায়া নেই।
*****
অমলকান্তি রোদ্দুর চেনেনি, তাই রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।
আমি চিনে ফেলেছি-
সকালে সূর্য ওঠে মাথা নিচু করে বেড়ার ওপর দিয়ে,
রোদ্দুর হয়ে ঢুকে পড়ে যার-তার ড্রইংরুমে, কিচেনে
এমনকি শোবার ঘরে, পর্দার ফাঁক পেলেই।
সব বাড়ির দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ।
রোদ্দুর, তোমার জন্য শরীর পেতে শুয়ে থাকে সহস্র মানুষ
ঘাসে, বালিতে বা তোয়ালে পেতে।
তুমি তাদের শরীরে সাদরে মাখিয়ে দাও সানস্ক্রিন।
সত্যি সত্যি আমি তাই রোদ্দুর হতে চাই না।
হোক অমলকান্তি, আমি তো অমলকান্তি নই।
(ক্ষমা করবেন নীরেন বাবু)।
চাঁদ আমাকে দিয়েছে রাতের মেধাবী সুখ, কেবল আমাকেই।
চাঁদের আলোয় আমি কবিতা লিখি,
জ্যোৎস্নায় জনান্তিকে গল্প আসে চুপি চুপি।
স্নিগ্ধ নৈঃশব্দ্যে আমি-আমি হয়ে উঠি।