
ঝবিফবহ নামটি এসেছে ‘ঝাবৎরমব’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘আমাদের কিংডম’। এই দেশের বড় বৈশিষ্ট্য হলো শীতকালে পুরো দিন হয় না, সবটুকু সময় রাত থাকে আর গ্রীষ্মকালে রাত হয় না, পুরোটা সময় দিন থাকে।
এ দেশের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নোবেল প্রাইজ। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অষভৎবফ ই. ঘড়নবষ, একজন সুইডিশ নাগরিক। নোবেল পুরস্কারের প্রচলন শুরু হয় ১৯০১ সালে এবং প্রথমে পাঁচটি বিভাগে দেওয়া হতোÑপদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তি। পরে অর্থনীতিও সংযুক্ত করা হয়। বিজয়ীদের সঙ্গে নোবেল সার্টিফিকেট ও ১.১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩-১৪ কোটি টাকা। নোবেল পুরস্কারের দিন ছোট ছোট শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে তাদেরও পুরস্কার দেওয়া হয়, যেন ভবিষ্যতে তারা এই গৌরব অর্জন করতে পারে।
সুইডেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের জন্য পড়াশোনা একদম ফ্রি। এখানেই জনপ্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম Spotifz প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ১৮০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সুইডেনের সংস্কৃতিতে একটি চমৎকার বিষয় হলো ‘Candz Day’, যা প্রতি শনিবার উদ্্যাপিত হয়। ১৯৫০ সালে এক জরিপে চিকিৎসকেরা দেখেন, অতিরিক্ত ক্যান্ডি খাওয়ার ফলে শিশুদের দাঁতের ক্ষয় হচ্ছে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সপ্তাহে এক দিন, অর্থাৎ শনিবার শিশুদের ইচ্ছামতো ক্যান্ডি খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘Fika’ নামে একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি আছে, যার অর্থ কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়া এবং সহকর্মীর সঙ্গে কফি পান করা। এতে অফিসের পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। Fika-এর সময় কফির সঙ্গে কুকিজ বা অন্য খাবার যোগ করা যায়। তবে মূল ব্যাপার হলো কফি এবং ভালো সঙ্গীর উপস্থিতি।
এই দেশ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। বেশির ভাগ বাস চলে বায়োগ্যাসে, যা তৈরি হয় গরুর গোবর থেকে। এ উদ্যোগের নাম ‘Cow to Car Fuel’। এ ছাড়া অধিকাংশ বাস চলে E85 ফুয়েল দিয়ে, যাতে ৮৫% ইথানল ও ১৫% পেট্রল থাকে। সুইডেনে বর্তমানে এক মিলিয়নেরও বেশি ইথানল-চালিত গাড়ি রয়েছে, যা দেশটিকে পরিবেশবান্ধব করেছে।
সুইডিশরা আইসক্রিম খেতে খুব ভালোবাসে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেও তারা আইসক্রিম খেতে পছন্দ করে। এখানকার আইসক্রিমের স্বাদ ও রং অতুলনীয়। এক ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় ১১ লিটার আইসক্রিম খেয়ে থাকে।
সুইডেনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ‘Vasa Museum’। প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ পর্যটক এটি দেখতে আসে। ১৬২৮ সালে একটি যুদ্ধজাহাজ স্টকহোম থেকে যাত্রা শুরু করেছিল কিন্তু মাত্র ১৩০০ মিটার যাওয়ার পরই এটি ডুবে যায়। প্রায় ৩৩৩ বছর পর, ১৯৫৬ সালে, এটি পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঠের সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত কেমিকেল এতটাই শক্তিশালী ছিল যে জাহাজটি প্রায় অক্ষত ছিল।
Tre Kronor মিউজিয়াম রাজার প্রাসাদের ভেতরে অবস্থিত। টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয় এবং প্রতিটি রুমে একজন গাইড থাকেন, যিনি দর্শনার্থীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানান। Painting রুমে গেলে বোঝা যায়, কত বছর আগে থেকেই সুইডেনের সংস্কৃতি কতটা উন্নত ছিল। রাজার ব্যবহৃত অলংকার, শোকেসে রাখা জগ, গ্লাস, চায়ের কাপ দেখে বোঝা যায়, সে সময়ের রাজা-বাদশাহরা কতটা শৌখিন ছিলেন।
বিশ্বের প্রথম আইস হোটেল সুইডেনে অবস্থিত। এটি Torne River-এর বিশুদ্ধ বরফ দিয়ে তৈরি। হোটেলের প্রতিটি আসবাব, এমনকি শোবার বিছানাও বরফের তৈরি। বিছানাটি স্লিপিং ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো থাকে, যাতে পর্যটকেরা আরামে থাকতে পারেন। এই হোটেলে এক রাত কাটানোর খরচ প্রায় ৪০০-৫০০ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১-৭০ হাজার টাকার সমান।
স্টকহোমের প্রধান বিমানবন্দর Arlanda Airport-এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে রোবট ব্যবহার করা হয়। আগে যেখানে ৩০-৪০ জন কর্মীর প্রয়োজন হতো, এখন সেখানে কয়েকটি রোবট দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা সুইডেনে আসে ‘Northern Lights’ দেখতে। যদিও আমরা ‘Midnight Sun’ বলতে সাধারণত নরওয়েকে বুঝি, তবু সুইডেন থেকেও এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব।
দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে Volt কল করে বাসায় ফিরে এলাম, কিন্তু মন পড়ে রইল সুইডেনের ঐতিহাসিক সৌন্দর্যে।
এ দেশের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নোবেল প্রাইজ। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অষভৎবফ ই. ঘড়নবষ, একজন সুইডিশ নাগরিক। নোবেল পুরস্কারের প্রচলন শুরু হয় ১৯০১ সালে এবং প্রথমে পাঁচটি বিভাগে দেওয়া হতোÑপদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তি। পরে অর্থনীতিও সংযুক্ত করা হয়। বিজয়ীদের সঙ্গে নোবেল সার্টিফিকেট ও ১.১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩-১৪ কোটি টাকা। নোবেল পুরস্কারের দিন ছোট ছোট শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে তাদেরও পুরস্কার দেওয়া হয়, যেন ভবিষ্যতে তারা এই গৌরব অর্জন করতে পারে।
সুইডেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের জন্য পড়াশোনা একদম ফ্রি। এখানেই জনপ্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম Spotifz প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ১৮০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সুইডেনের সংস্কৃতিতে একটি চমৎকার বিষয় হলো ‘Candz Day’, যা প্রতি শনিবার উদ্্যাপিত হয়। ১৯৫০ সালে এক জরিপে চিকিৎসকেরা দেখেন, অতিরিক্ত ক্যান্ডি খাওয়ার ফলে শিশুদের দাঁতের ক্ষয় হচ্ছে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সপ্তাহে এক দিন, অর্থাৎ শনিবার শিশুদের ইচ্ছামতো ক্যান্ডি খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘Fika’ নামে একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি আছে, যার অর্থ কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়া এবং সহকর্মীর সঙ্গে কফি পান করা। এতে অফিসের পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। Fika-এর সময় কফির সঙ্গে কুকিজ বা অন্য খাবার যোগ করা যায়। তবে মূল ব্যাপার হলো কফি এবং ভালো সঙ্গীর উপস্থিতি।
এই দেশ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। বেশির ভাগ বাস চলে বায়োগ্যাসে, যা তৈরি হয় গরুর গোবর থেকে। এ উদ্যোগের নাম ‘Cow to Car Fuel’। এ ছাড়া অধিকাংশ বাস চলে E85 ফুয়েল দিয়ে, যাতে ৮৫% ইথানল ও ১৫% পেট্রল থাকে। সুইডেনে বর্তমানে এক মিলিয়নেরও বেশি ইথানল-চালিত গাড়ি রয়েছে, যা দেশটিকে পরিবেশবান্ধব করেছে।
সুইডিশরা আইসক্রিম খেতে খুব ভালোবাসে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেও তারা আইসক্রিম খেতে পছন্দ করে। এখানকার আইসক্রিমের স্বাদ ও রং অতুলনীয়। এক ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় ১১ লিটার আইসক্রিম খেয়ে থাকে।
সুইডেনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ‘Vasa Museum’। প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ পর্যটক এটি দেখতে আসে। ১৬২৮ সালে একটি যুদ্ধজাহাজ স্টকহোম থেকে যাত্রা শুরু করেছিল কিন্তু মাত্র ১৩০০ মিটার যাওয়ার পরই এটি ডুবে যায়। প্রায় ৩৩৩ বছর পর, ১৯৫৬ সালে, এটি পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঠের সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত কেমিকেল এতটাই শক্তিশালী ছিল যে জাহাজটি প্রায় অক্ষত ছিল।
Tre Kronor মিউজিয়াম রাজার প্রাসাদের ভেতরে অবস্থিত। টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয় এবং প্রতিটি রুমে একজন গাইড থাকেন, যিনি দর্শনার্থীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানান। Painting রুমে গেলে বোঝা যায়, কত বছর আগে থেকেই সুইডেনের সংস্কৃতি কতটা উন্নত ছিল। রাজার ব্যবহৃত অলংকার, শোকেসে রাখা জগ, গ্লাস, চায়ের কাপ দেখে বোঝা যায়, সে সময়ের রাজা-বাদশাহরা কতটা শৌখিন ছিলেন।
বিশ্বের প্রথম আইস হোটেল সুইডেনে অবস্থিত। এটি Torne River-এর বিশুদ্ধ বরফ দিয়ে তৈরি। হোটেলের প্রতিটি আসবাব, এমনকি শোবার বিছানাও বরফের তৈরি। বিছানাটি স্লিপিং ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো থাকে, যাতে পর্যটকেরা আরামে থাকতে পারেন। এই হোটেলে এক রাত কাটানোর খরচ প্রায় ৪০০-৫০০ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১-৭০ হাজার টাকার সমান।
স্টকহোমের প্রধান বিমানবন্দর Arlanda Airport-এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে রোবট ব্যবহার করা হয়। আগে যেখানে ৩০-৪০ জন কর্মীর প্রয়োজন হতো, এখন সেখানে কয়েকটি রোবট দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা সুইডেনে আসে ‘Northern Lights’ দেখতে। যদিও আমরা ‘Midnight Sun’ বলতে সাধারণত নরওয়েকে বুঝি, তবু সুইডেন থেকেও এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব।
দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে Volt কল করে বাসায় ফিরে এলাম, কিন্তু মন পড়ে রইল সুইডেনের ঐতিহাসিক সৌন্দর্যে।