দেশপ্রেম মানুষের আচার-আচরণ ও তার সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রবাসীদের দেশপ্রেমের মধ্যে কোনো খাদ বা ভেজাল থাকে না। প্রবাসে থেকে যারা মনেপ্রাণে দেশকে ভালোবাসেন এবং দেশমাতৃকার জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করেন, তারা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আমি দুটি দেশপ্রেমিক প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে চাই। একটি হলো আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের বন্ধুবান্ধবের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি অনন্য ও ব্যতিক্রমধর্মী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব) এবং আরেকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশিদের আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসের প্রতীক সাপ্তাহিক ঠিকানা।
বাংলাদেশ ও বাঙালিদের আবেগ, ভালোবাসা, গৌরব ও ত্যাগের যে কয়েকটি দিবস বা দিন রয়েছে, তার মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর অন্যতম। এই দিনগুলোতে বাংলাদেশি ও বাঙালিদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার তীব্র আকাক্সক্ষা ও মনোবাসনা জাগে। এই বিশেষ দিনগুলোতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমিক মানুষেরা সৃষ্টি করে বা গড়ে তোলে ভালোবাসার এক একটি তাজমহল। যে তাজমহলের আলোয় আলোকিত হবে দেশ, সমাজ, জাতি ও সারা বিশ্ব।
১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ড. এটি রফিকুর রহমানের উদ্যোগে নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের বন্ধুবান্ধবের বাংলাদেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব)। সংস্থাটিকে প্রথমে অবশ্য বাংলায় ভ্যাব বলা হতো। পরে ২০১০ সাল থেকে ভাব নামে পরিচিতি লাভ করে। ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে নিউইয়র্কে আইআরএসের নিবন্ধন লাভ করে এবং ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গুণগত মানসম্মত শিক্ষা উন্নয়নে কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, টিউটোরিং, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ইংরেজি ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, কম্পিউটার এবং বেকার যুবকদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া স্কুলে কম্পিউটার, লাইব্রেরিতে বই, বিজ্ঞানাগারে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম, কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলার উপকরণ প্রদান করছে।
২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর ভাব প্রাকৃতজন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ২০০৫ সাল থেকে ভাব বাংলাদেশে নিজেরাই কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। ২০০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ভাব বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো থেকে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে।
ভাব বিগত ২৫ বছরে বাংলাদেশের ৩৩টি জেলার ৫৯টি উপজেলার ১৬০টি বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ষষ্ঠ শ্রেণি ও এসএসসিতে ২৪ হাজার শিক্ষার্থীকে বিশেষ টিউটোরিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। দুই হাজারের উপরে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভাব ১০১টি স্কুলে কম্পিউটার, ১১৫টি স্কুলের লাইব্রেরিতে বই, ৯৬টি স্কুলে বিজ্ঞানাগারে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম, ৬০টি স্কুলে শিশুদের খেলাধুলার উপকরণ প্রদান করেছে। ভাব বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুবিধাবঞ্চিত পরিবার ও স্কুলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে ভাব-এর কার্যক্রম বিস্তারে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ, প্রিন্সিপাল হামিদা আলী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ড. মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ও বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. জসিম উজজামান তাদের মধ্যে অন্যতম। যেসব প্রতিষ্ঠান ভাব-এর কার্যক্রম বিস্তারে সহযোগিতা করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, শেভরন বাংলাদেশ, ইউএনডিপি বাংলাদেশ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ও মালালা ফান্ড।
ভাব বাংলাদেশের ১১টি স্কুলের সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কম্পিউটার সাক্ষরতাজ্ঞানসম্পন্ন। ভাব বাংলাদেশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রীরা মেয়েদের ক্রিকেটে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ভাব বাংলাদেশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিতর্ক করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোবটিকসে অংশগ্রহণ করে সিলভার পদক নিয়ে এসেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছে। ভাব বাংলাদেশের শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। দারিদ্র্য পরিবারের বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দেশপ্রেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাব সৃষ্টি সার্থক হয়েছে। দেশ ও বিদেশে ভাব-এর কার্যক্রম প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভাব-এর ২৫ বছর পূর্তিতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল যশোরের এক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করেছি। সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে সব সময় সমাজের মানুষের জন্য কিছু করার প্রবল আগ্রহ ও আকাক্সক্ষা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভাব বাংলাদেশে কাজ শুরু করি। ভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা এসেছেন, তাদের অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, সমাজের দর্পণ তথা আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ বাহন সংবাদপত্র, বিশেষ করে বাংলা গণমাধ্যমের প্রসঙ্গ এলেই সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার নাম এত শুনেছি, যা বলে শেষ করা যাবে না। অনলাইনে নিয়মিত ঠিকানা পত্রিকা পড়ি। কোনো এক অজানা কারণে ঠিকানার প্রতি ভালোবাসা জন্ম হয়েছে। আর যখন জানতে পেরেছি ঠিকানার জন্ম হয়েছে আমাদের গৌরবের অহংকার ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিতে; তখন থেকে ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিকানার একজন পাঠক ও শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে ঠিকানার ৩৫ বছরে পদার্পণে বাংলাদেশ থেকে ঠিকানার জন্য নিরন্তর শুভকামনা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঠিকানার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
লেখক : সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব)
ঢাকা, বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও বাঙালিদের আবেগ, ভালোবাসা, গৌরব ও ত্যাগের যে কয়েকটি দিবস বা দিন রয়েছে, তার মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর অন্যতম। এই দিনগুলোতে বাংলাদেশি ও বাঙালিদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার তীব্র আকাক্সক্ষা ও মনোবাসনা জাগে। এই বিশেষ দিনগুলোতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমিক মানুষেরা সৃষ্টি করে বা গড়ে তোলে ভালোবাসার এক একটি তাজমহল। যে তাজমহলের আলোয় আলোকিত হবে দেশ, সমাজ, জাতি ও সারা বিশ্ব।
১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ড. এটি রফিকুর রহমানের উদ্যোগে নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের বন্ধুবান্ধবের বাংলাদেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব)। সংস্থাটিকে প্রথমে অবশ্য বাংলায় ভ্যাব বলা হতো। পরে ২০১০ সাল থেকে ভাব নামে পরিচিতি লাভ করে। ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে নিউইয়র্কে আইআরএসের নিবন্ধন লাভ করে এবং ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গুণগত মানসম্মত শিক্ষা উন্নয়নে কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, টিউটোরিং, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ইংরেজি ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, কম্পিউটার এবং বেকার যুবকদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া স্কুলে কম্পিউটার, লাইব্রেরিতে বই, বিজ্ঞানাগারে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম, কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলার উপকরণ প্রদান করছে।
২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর ভাব প্রাকৃতজন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ২০০৫ সাল থেকে ভাব বাংলাদেশে নিজেরাই কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। ২০০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ভাব বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো থেকে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে।
ভাব বিগত ২৫ বছরে বাংলাদেশের ৩৩টি জেলার ৫৯টি উপজেলার ১৬০টি বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ষষ্ঠ শ্রেণি ও এসএসসিতে ২৪ হাজার শিক্ষার্থীকে বিশেষ টিউটোরিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। দুই হাজারের উপরে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভাব ১০১টি স্কুলে কম্পিউটার, ১১৫টি স্কুলের লাইব্রেরিতে বই, ৯৬টি স্কুলে বিজ্ঞানাগারে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম, ৬০টি স্কুলে শিশুদের খেলাধুলার উপকরণ প্রদান করেছে। ভাব বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুবিধাবঞ্চিত পরিবার ও স্কুলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে ভাব-এর কার্যক্রম বিস্তারে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ, প্রিন্সিপাল হামিদা আলী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ড. মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ও বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. জসিম উজজামান তাদের মধ্যে অন্যতম। যেসব প্রতিষ্ঠান ভাব-এর কার্যক্রম বিস্তারে সহযোগিতা করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, শেভরন বাংলাদেশ, ইউএনডিপি বাংলাদেশ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ও মালালা ফান্ড।
ভাব বাংলাদেশের ১১টি স্কুলের সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কম্পিউটার সাক্ষরতাজ্ঞানসম্পন্ন। ভাব বাংলাদেশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রীরা মেয়েদের ক্রিকেটে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ভাব বাংলাদেশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিতর্ক করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোবটিকসে অংশগ্রহণ করে সিলভার পদক নিয়ে এসেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছে। ভাব বাংলাদেশের শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। দারিদ্র্য পরিবারের বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দেশপ্রেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাব সৃষ্টি সার্থক হয়েছে। দেশ ও বিদেশে ভাব-এর কার্যক্রম প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভাব-এর ২৫ বছর পূর্তিতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল যশোরের এক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করেছি। সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে সব সময় সমাজের মানুষের জন্য কিছু করার প্রবল আগ্রহ ও আকাক্সক্ষা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভাব বাংলাদেশে কাজ শুরু করি। ভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা এসেছেন, তাদের অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, সমাজের দর্পণ তথা আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ বাহন সংবাদপত্র, বিশেষ করে বাংলা গণমাধ্যমের প্রসঙ্গ এলেই সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার নাম এত শুনেছি, যা বলে শেষ করা যাবে না। অনলাইনে নিয়মিত ঠিকানা পত্রিকা পড়ি। কোনো এক অজানা কারণে ঠিকানার প্রতি ভালোবাসা জন্ম হয়েছে। আর যখন জানতে পেরেছি ঠিকানার জন্ম হয়েছে আমাদের গৌরবের অহংকার ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিতে; তখন থেকে ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিকানার একজন পাঠক ও শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে ঠিকানার ৩৫ বছরে পদার্পণে বাংলাদেশ থেকে ঠিকানার জন্য নিরন্তর শুভকামনা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঠিকানার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
লেখক : সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব)
ঢাকা, বাংলাদেশ