Thikana News
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

মিলারের সেঞ্চুরিতে কোনোমতে ২০০ পেরোল দক্ষিণ আফ্রিকা

মিলারের সেঞ্চুরিতে কোনোমতে ২০০ পেরোল দক্ষিণ আফ্রিকা ছবি সংগৃহীত
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে ১০০ এর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল প্রোটিয়াদের। দলের এই বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ডেভিড মিলার। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে কোনোমতে ২০০ রান পেরোল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়াকে ২১৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে প্রোটিয়ারা।

১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারানো শুরু করে প্রোটিয়ারা। ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্ককে খোঁচা দিতে চান বাভুমা। এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়ে তালুবন্দী করেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকা ১ রানে ১ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। ডুসেনকে নিয়ে ওপেনার কুইন্টন ডি কক বেশ সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে কাভার ড্রাইভ করেন ডুসেন। দু-বারই দারুণভাবে সেভ করেন ডেভিড ওয়ার্নার।

রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুতই হারিয়েছে ছন্দে থাকা ব্যাটার ডি ককের উইকেট। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে জশ হ্যাজলউডকে লেগ সাইডে খেলতে যান ডি কক। আকাশে ভেসে থাকা বল মিড অনে দুর্দান্তভাবে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে ৩ রান করেন প্রোটিয়া বাঁহাতি ব্যাটার। রানের জন্য ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮ রান করতে পেরেছে, যা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ১০ ওভারে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা করেছিল ২ উইকেটে ১২ রান।

পাওয়ার প্লের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারও উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে মার্করামের উইকেট তুলে নেন স্টার্ক। প্রথম ৩ উইকেট পড়া ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র মার্করাম দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। ২০ বলে ২ চারে ১০ রান করেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার। ঠিক তার পরের ওভারেই ডুসেনের উইকেট তুলে নেন হ্যাজলউড। ১১.৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ২৪ রান। প্রোটিয়াদের স্কোর হতে পারত ১২ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫ রান। যেখানে হ্যাজলউডের বলে বিভ্রান্ত হয়ে সদ্য ব্যাটিংয়ে আসা ডেভিড মিলার ডিফেন্স করতে যান। তবে স্লিপের মাঝখান দিয়ে বল চার হয়ে যায়।

ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৪ ওভার শেষে হয়েছে ৪ উইকেটে ৪৪। এর পরই বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪২ মিনিটে শুরু হয় বেরসিক বৃষ্টি। ৪৩ মিনিট বন্ধ থাকার পর বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে পুনরায় শুরু হয় খেলা। এরপর বেশ সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন। দুজনের প্রায় ১০০ রানের জুটিতে ৩০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১১ রান দাঁড়ায়।

ক্লাসেন ও মিলার অজিদের প্রধান অস্ত্র অ্যাডাম জাম্পাকে মাঠের চারপাশে আছড়ে ফেলতে থাকেন। যেভাবে তারা খেলছিলেন, তাতে বাধ্য হয়েই অজি অধিনায়ক কামিন্স বোলিংয়ে নিয়ে আসেন পার্টটাইম বোলার হেডকে। আর এসেই অজি ক্যাম্পে স্বস্তি ফেরান হেড। টানা দুই বলে ফেরান বিপজ্জনক ক্লাসেন ও জেনসেনকে।

তবে তখনো ক্রিজে ছিলেন কিলার মিলার। দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পর জেরাল্ড কোয়েটজেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোয়েটজে। ৩৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি।

এক পাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চললেও অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিলার। ১১৪ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১১৬ বলে ১০১ রান করে ফিরেছেন তিনি।

শেষ দিকে কেশব মহারাজ-কাগিসো রাবাদারা দ্রুত ফিরলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স