আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা নামছে আজ। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে শিরোপার লড়াইয়ে। দুই দলের জন্যই এটি প্রথমবার ট্রফি জয়ের সুযোগ। তবে গৌরবের পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অর্থ পুরস্কারের আকর্ষণও।
চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা)। রানার্সআপ দলের প্রাপ্তি তার অর্ধেক-২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। কার হাতে উঠবে ট্রফি ও কোটি টাকার পুরস্কার, ম্যাচ শেষেই তা জানা যাবে।
আইসিসি এবার নারী বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার তহবিল নির্ধারণ করেছে। তুলনামূলকভাবে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে প্রাইজমানি ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার, আর ২০২৩ সালে ভারতের পুরুষদের বিশ্বকাপেও মোট পুরস্কার ছিল ১ কোটি ডলার-অর্থাৎ নারীদের বিশ্বকাপ এবার সেই সীমা ছাড়িয়েছে।
রেকর্ড এই পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত অর্থও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে-অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। অংশগ্রহণ বাবদ সব দলই সমান অর্থ পাচ্ছে-২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ দল লিগ পর্বে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। ফলে অবস্থানভিত্তিক পুরস্কার হিসেবে পাচ্ছে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল যথাক্রমে ৪৪.৮০ লাখ ও ২২.৪০ লাখ ডলার পাবে; সেমিফাইনালিস্ট দুই দল পাবে ১১.২০ লাখ ডলার করে; পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দলগুলো ৭ লাখ ডলার করে এবং সপ্তম ও অষ্টম দল পাবে ২.৮০ লাখ ডলার করে।
এছাড়া জয়সংখ্যা অনুযায়ীও পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ৭ ম্যাচে একটি জয় (পাকিস্তানের বিপক্ষে) পাওয়ায় বাংলাদেশ পাচ্ছে অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার।
সব মিলিয়ে অংশগ্রহণ বাবদ ২.৫০ লাখ, অবস্থানভিত্তিক ২.৮০ লাখ এবং জয়ের পুরস্কার হিসেবে ৩৪,৩১৪ ডলার-মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ নারী দল। বর্তমান বিনিময় হার (১ ডলার = ১২২.৩২ টাকা) অনুযায়ী, এর পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
এবারের নারী বিশ্বকাপ শুধু প্রতিযোগিতার দিক থেকে নয়, আর্থিক দিক থেকেও রেকর্ড ভাঙল—নারী ক্রিকেটের উত্থানে এটি নিঃসন্দেহে এক নতুন মাইলফলক।
ঠিকানা/এএস



ঠিকানা অনলাইন


