Thikana News
০২ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫





 

আপিল বিভাগে বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রধান বিচারপতি

আপিল বিভাগে বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রধান বিচারপতি ছবি : সংগৃহীত





 

বাংলাদেশ সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করবেন। ২ নভেম্বর (রবিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এর নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

 

আপিল বিভাগে বর্তমানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে শুনানি চলছে। ঐতিহাসিক এ মামলার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রধান বিচারপতি। গতকাল রাতে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছান।

 

এদিকে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর আপিলের টানা ৬ষ্ঠ দিনের শুনানি আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে শুরু হয়। আদালতে বিএনপির পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর আপিলের ৫ম দিনের শুনানি শেষ হয়।

 

আগের দিনগুলোতে শুনানির বিবরণ অনুসারে, ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি শেষ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৩ অক্টোবর ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন। ২২ অক্টোবর রিটকারী বদিউল আলম মজুমদার এর পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। শুনানি শুরু হয় ২১ অক্টোবর।

 

এর আগে, ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ড. বদিউল আলম মজুমদার সহ ৫ জন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

 

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনী মাধ্যমে, যা ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। ১৯৯৮ সালে সংবিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

এরপর আপিলের অনুমতি মঞ্জুর হয়। ২০০৫ সালে আপিল করা রিট আবেদন মঞ্জুর করে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন। এরপর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

 

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবং নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আবেদন করেন।

 

ঠিকানা/এএস


কমেন্ট বক্স