বিচার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে এ খবর প্রকাশের পরপরই আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো শাহবাগ মোড় থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত।
শনিবার (১০ মে) রাত আটটার দিকে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ডাকা এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন দল-মতের মানুষ অংশ নিয়েছে।
সর্বশেষ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) চেয়ে সময়সীমা বেঁধে দেন হাসনাত। তবে এক ঘণ্টা পরও সিদ্ধান্ত না আসায় রাত নয়টার দিকে শাহবাগে অবস্থান করা ছাত্র-জনতা শাহবাগ মোড় ছেড়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে রওনা দেন। পরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়ে তারা।
এদিকে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ঠিকানা/এনআই