* ‘ঠিকাদার সংকটে কাজ বন্ধ’, যুগান্তর
* ‘দূরেই থাকবে বিএনপি জামায়াত’, দেশ রূপান্তর
* ‘৬ টাকার পানি ২০ টাকা’, আজকের পত্রিকা
* ‘Rampal fouling 2 Sundarbans rivers’, ডেইলি স্টার
* ‘এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডে ৪৩ লাখেই অনিয়ম!, নয়া দিগন্ত
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘পুলিশের লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ আন্ডারওয়ার্ল্ডে!’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে খুন, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো ভয়ংকর অপরাধ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। রাত যত গভীর হতে থাকে সড়কের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় এসব অপরাধীদের হাতে। বিশেষ করে রাজধানীতে এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিনতাই নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খোদ রাজধানীতে সহস্রাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও মাত্র অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেছে। বেশিরভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যানের মধ্যে নথিভুক্ত করা হয়নি।
পূর্ব শত্রুতা, ব্যক্তিগত বিরোধ ও আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে খুনোখুনির ঘটনা বেড়েছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ২৯টি খুনের ঘটনা ঘটে। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে রাজধানীতে বিভিন্ন অপরাধ ও ঘটনায় দুই শতাধিক লাশ উদ্ধার হয়। এর মধ্যে শতাধিক খুনের ঘটনা রয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসে ৫৬টি খুনের ঘটনা ঘটে। সে অনুযায়ী বিগত তিন মাসে ১৩০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলার এমন পরিস্থিতির জন্য পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র গোলাবারুদকে দায়ী করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
অনুযায়ী, পুলিশ, বিভিন্ন থানা, কারাগার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার ৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি গুলি লুট হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৮৩টি অস্ত্র এবং ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৮২টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ১ হাজার ৫৪৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়া গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত যৌথ বাহিনী ৩৮৯টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে এসএসএফের লুট হওয়া অস্ত্র রয়েছে কি না তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।
গণভবনের দায়িত্বে থাকা এসএসএফ সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্টিক্যাল গিয়ার, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদির মজুত ছিল। এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনেও এসএসএফের অস্ত্র গোলাবারুদ মজুত ছিল। ৫ আগস্ট জনতা গণভবন ও জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করার পর ঐ সব অস্ত্রশস্ত্র লুট হয়ে যায়। লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩২টি ভারী অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।
এসব বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর বলেন, ‘লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৭৫ ভাগ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৬০ ভাগ উদ্ধার হয়েছে গোলাবারুদ। গত ১৮ অক্টোবর থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। গোটা রাজধানীতে স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি শতাধিক অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে রাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রায় ৩০০ মোটরসাইকেল টহল টিম রাত ১০টার পর টহলে নামছে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতাবস্থায় ফিরে আসবে।
লুট করা অস্ত্র আন্ডারওয়ার্ল্ডে : গোয়েন্দাদের ধারণা যেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, তার একটি বড় অংশ সারা দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাতে চলে গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প, পল্লবী, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, কলাবাগান, হাজারীবাগ, ঢাকা উদ্যান, বছিলা, আদাবর ও লালবাগ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে হাত বদলের মাধ্যমে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ চলে গেছে। মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ইসরাইলের তৈরি উজি পিস্তলও দেখা গেছে।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথমে আলোর প্রধান শিরোনাম সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের ‘ইচ্ছাপূরণ’ প্রকল্প বাতিল হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ীতে একটি রেল কারখানা নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ব্যয় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি। অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটি বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রেল মন্ত্রণালয়ের এখনকার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের দুটি কারখানা রয়েছে। জনবলসংকট, কম বরাদ্দ, পুরোনো যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের অভাবে কারখানা দুটি ধুঁকছে। সে দুটির আধুনিকায়ন না করে নতুন কারখানা করার উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল।
শুধু রেল কারখানা নয়; রেল, সড়ক, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), দুর্যোগ, পরিবেশ, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া, অলাভজনক ও অগুরুত্বপূর্ণ’ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ১০টি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে অন্তত ৩৫টি প্রকল্পের খোঁজ পাওয়া গেছে, যেগুলো বাতিল, অর্থায়ন স্থগিত অথবা ব্যয় কাটছাঁট করা হবে। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের তালিকা করতে বলেছিলেন। এই নির্দেশনার পর ভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রকল্পের তালিকা তৈরি শুরু করে। যে ৩৫টি প্রকল্প বাতিল অথবা স্থগিত হতে যাচ্ছে, সেগুলোর কোনোটির কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে, কোনোটির কাজ মাত্র শুরু হয়েছে, কোনোটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। কিছু প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে ছিল। মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, বাতিল অথবা স্থগিতের তালিকায় প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়বে।
যুগান্তর
‘ঠিকাদার সংকটে কাজ বন্ধ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ২৩১টি প্রধান সড়কের ১২৪০ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় সাড়ে তিনশ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো নতুন করে তৈরি অথবা মেরামত করতে সদ্য বিদায়ি সরকারের শেষ সময়ে দরপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই কাজ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ১০টি জোন।
বিপুল অঙ্কের এই টাকার সংস্থান থাকলেও কাজ শুরু করতে পারছে না সওজ। কারণ অন্তর্ভুক্ত ১০৫টি প্রকল্পের মধ্যে বেশিরভাগ দরপত্রে ঠিকাদারদের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ না হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। এ অবস্থায় পুনঃটেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলে জুনের আগে এই কাজ আর আলোর মুখ দেখবে না। এতে ভাঙাচোরা এসব সড়ক আরও বেহাল হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকৌশলীদের।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা সওজে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়েও দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সওজের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিষয়টি সব সময়ই এড়িয়ে গেছেন। কারণ, কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন দুর্নীতিবাজ কয়েকজন কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কালো তালিকাভুক্ত ২৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় দরপত্র প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগের অংশীদার হিসাবে অযোগ্য হয়। এই ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি কালো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্তের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। ১৫ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সওজ আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর বিএনপি মাঝেমধ্যে শোডাউন করে ‘নির্বাচনী চাপ’ বাড়াবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আরো চাপ বাড়াতে চায় বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করেছে দলটি। সারা দেশে একই ধরনের আরো শোডাউন করার চিন্তা-ভাবনা করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, সরকার নানা ধরনের সংকটে আছে। সামনে অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে। খাদ্যসংকটও প্রকট হতে পারে। ফলে নির্বাচনের দাবিকে পাশ কাটানো তাদের জন্য কঠিন হবে। এদিক বিবেচনা করে বিএনপি নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
গত শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বড় জমায়েতের উদ্দেশ্য ছিল সংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালো করা। এ জন্য নয়াপল্টন থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপি ও জনগণ যে নির্বাচনমুখী তা বোঝাতেই মূলত সংসদ ভবনের সামনে শোভাযাত্রা শেষ করার উদ্দেশ্য ছিল। শোভাযাত্রার স্লোগানও ছিল নির্বাচনের দাবিতে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারকাজ শেষ করে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তিকে সতর্ক করা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা—এই তিন বিষয় মাথায় রেখে ধাপে ধাপে কর্মসূচি বাড়াবে বিএনপি। দলের উচ্চমহল ধারণা করছে, বড় ধরনের জমায়েতের ফলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মনোজগতে নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। বড় কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের যে উপস্থিতি তা নির্বাচনের দাবি জোরালো করবে।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘ছাত্র নেতৃত্বের দুই দাবি কোন পথে’। খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে শুরুতে অনড় মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিক ঐকমত্য না হওয়ায় ছাত্র নেতৃত্বের কণ্ঠে সেই দাবি আর জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে না। সংবিধান পুনর্লিখনের দাবিতেও রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মত সমর্থন মেলেনি। অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের এসব দাবি কোন পথে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানকে সর্বাত্মক সমর্থন করেছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সেই সময়কার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। নাগরিক সমাজ ও সাধারণ মানুষও আন্দোলনে ব্যাপক সমর্থন জানায়। তবে হাজারের বেশি প্রাণের বিনিময়ে রক্তাক্ত এই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ছাত্র নেতৃত্বের সব সিদ্ধান্তে আগের মতো সমর্থন করছে না বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল। এ কারণে আওয়ামী লীগ এবং এর সমর্থক দলগুলোকে নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট এক দিনের মধ্যে প্রত্যাহার হয়। জাতীয় পার্টি (জাপা) কার্যালয়ে হামলার সরাসরি নিন্দা না করলেও বিএনপিসহ অন্যান্য দল প্রকাশ্যে বিরক্তি দেখায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ অবশ্য দাবি করেন, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে দাবি থেকে তারা সরে আসেননি। সমকালকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। কিছু রাজনৈতিক দল এ দাবিতে একমত, কিছু দলের দ্বিমত রয়েছে। তাঁর অপসারণ মেনে নেবে না– সেই পরিস্থিতি আমরা দেখছি না। যদি মেনে না নেয়, সে ক্ষেত্রে আমরা যেহেতু ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আছি, তা চালিয়ে যাব।’
নয়া দিগন্ত
‘এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডে ৪৩ লাখেই অনিয়ম!’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য তৈরিকৃত এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে ৪৩ লাখ কার্ডে অনিয়ম রয়েছে। এই কার্ডের মধ্যে একই ব্যক্তির একাধিক কার্ড রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজনরা এই কার্ড করেছে। এতে সহায়তা করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এখন অনিয়ম ঠেকাতে ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এখন থেকে ভোক্তাদের কাছে কম দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ সম্পর্কে বলেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবার একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছে। হাতে লেখা কার্ডগুলোকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে রূপান্তর করতে গিয়ে দেখা গেছে ৪৩ লাখ কার্ডে অনিয়ম রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রনিধিরা না থাকায় ভোক্তাপর্যায়ে পণ্য ঠিক মতো পৌঁছাচ্ছে কি না তাও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনিয়মের খবর আসছে। এক ব্যক্তি একাধিক জায়গায় এই কার্ড দিয়ে পণ্য নিচ্ছেন, এই হচ্ছে মূল অভিযোগ। পরিবার কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হচ্ছে, যেন এক পরিবারে এক ব্যক্তির বেশি কেউ কার্ড না পান।
কার্ডগুলোকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য টিসিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চারবার চিঠি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, কার্ডধারীদের তথ্য পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জনসহ হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনে সাম্প্রতিক রদবদলের কারণে টিসিবির হাতে এসব তথ্য এখনো আসেনি। সে জন্য বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সময় লাগছে। এখন পুরনো কার্ডেই পরিবারগুলোর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবির ট্রাকের পণ্য অনেক মানুষ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কিনতে পারছেন না বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। কেন এমনটা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, নির্দিষ্টসংখ্যক পরিবারের জন্য বরাদ্দ থাকে। প্রতিটি স্থানে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য বরাদ্দ থাকে। পরিবেশকদের বলা হয়েছে, ৩৫০টি টোকেন দেয়ার জন্য। এর বেশি দেয়া সম্ভব নয়। যারা টোকেন পাবেন না, তাদের সে দিনের জন্য চলে যেতে হবে। ফলে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ থাকলে অন্যদের পরের দিন আসতে বলা হয়।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Rampal fouling 2 Sundarbans rivers’ অর্থাৎ ‘সুন্দরবনের দুই নদী উচ্ছেদ করছে রামপাল’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষের দিকে কোনও বর্জ্য শোধনাগার ছাড়াই কাজ শুরু করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তখন থেকে অপরিশোধিত বর্জ্য সুন্দরবনের পাশের পশুর ও মাইদারা নদীতে ফেলছে। এটি পরিবেশ অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া শর্তেরও লঙ্ঘন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বর্জ্য জলজ জীবনের ক্ষতি করছে এবং মাছের খাদ্যকে অনিরাপদ করে তুলছে।
যথাযথ পরিশোধন ছাড়াই ময়দারা নদীতে (বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে পশুর সঙ্গে মিলিত হয়) বর্জ্য মিশ্রিত পানি ছাড়া হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলজ জীববৈচিত্র্য ও পানির গুণমানের দিক থেকে এটি খুবই উদ্বেগজনক।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘কভিডের পর জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি বেড়েছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে ২০২৩ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ২৯ লাখের কিছু বেশি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৭ লাখে। অতীতে বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির গতি ক্রমেই শ্লথ হতে দেখা গেলেও পরিস্থিতিতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে। ওই সময় থেকে বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের অধীন পপুলেশন ডিভিশনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির গতি ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু এর পর থেকে তা আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা ২০২১ সালের মধ্যে দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু পরের বছরই তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। ২০২৩ সালে তা আরো বেড়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। ২০২৪ সালে এর প্রাক্কলিত হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। আর বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুই শুমারির মধ্যকার সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার ছিল ১ দশমিক ১২ শতাংশ। সে অনুযায়ী, বর্তমানে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার দুই শুমারির মধ্যকার সময়ের গড় হারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
দেশে এখন পুরুষের চেয়ে নারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার তুলনামূলক বেশি। ২০২৩ সাল শেষে দেশে নারীর সংখ্যা ছিল পুরুষের তুলনায় ৩২ লাখ ২০ হাজার বেশি। বর্তমানে এ ব্যবধান ৪০ লাখের কাছাকাছি বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেশে এখন কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো দূর করা যায়নি এখনো। এসব বিপত্তি দূর করতে না পারলে সামনের দিনগুলোয় দেশের নারীপ্রধান কর্মশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনমিতিক লভ্যাংশ) আদায় করা বাংলাদেশের জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
আজকের পত্রিকা
‘৬ টাকার পানি ২০ টাকা’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বোতলের পানি এখন দেশের কোটি কোটি মানুষের ভরসা। বাড়িতে পরিবারের জন্য ব্যবহার ছাড়াও হোটেল-রেস্তোরাঁ, উৎসব, সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান—সর্বত্র ব্যবহৃত হয় বোতলের পানি। দিনে দিনে এই পানি হয়ে উঠেছে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ভোক্তাস্বার্থের পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এই নির্ভরশীলতার সুযোগ নিয়ে কোম্পানিগুলো উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির তুলনায় অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। অনুসন্ধান বলছে, বাজার দখলে রাখতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বড় মুনাফা দেওয়া চড়া দামের বড় কারণ।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দেশে বোতলে পানির ব্যবহার শুরু হয়। শুরুর দিকে এই পানি কিনে খাওয়া প্রায় বিলাসিতা মনে হলেও গত সাড়ে তিন দশকে জীবনযাপনের প্রায় সাধারণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এটি। ক্রমেই বেড়েছে বাজার। প্রতিযোগিতা কমিশনের পর্যালোচনা অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে এই পানি বিক্রি হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার লিটারের বেশি। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত (যে পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে) বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি লিটার।
একলাফে বড় মূল্যবৃদ্ধি
শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আধা লিটার পানির বোতলের দাম একবারে ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করে। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিযোগিতা কমিশনের তৈরি করা ‘বোতলজাত পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিবিষয়ক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে’ এ তথ্য রয়েছে। এতে কোম্পানিভেদে মুনাফা বেড়ে যায় ৭১ দশমিক ২৩ থেকে ৪২০ শতাংশ পর্যন্ত। অনেক বেড়ে যায় ডিস্ট্রিবিউটর ও খুচরা বিক্রেতাদের লাভের অংশও। ফলে ৫০০ মিলির এক বোতল পানির উৎপাদন খরচ ৬-৭ টাকা হলেও ক্রেতাকে তা কিনতে হচ্ছে ২০ টাকায়।
অনেকের অভিযোগ, ৭-৮টি কোম্পানি বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের মুনাফা অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ডলারের দাম ও কাঁচামালের আমদানি খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করেছিল কোম্পানিগুলো। তবে বিশ্লেষণ করে সরকারের প্রতিযোগিতা কমিশন দেখতে পায়, সার্বিকভাবে উৎপাদন খরচ বেড়েছে নামমাত্র।
প্রতিযোগিতা কমিশন তাদের অনুসন্ধানে ঢাকা ওয়াসাসহ (ব্র্যান্ড নাম শান্তি) মোট ৮ কোম্পানির উৎপাদন খরচ বিশ্লেষণ করে। এতে যোগসাজশ করে দাম বাড়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। ওয়াসা ছাড়া বাকি ৭টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এগুলো হলো কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেড (কিনলে), ট্রান্সকম বেভারেজেস (অ্যাকুয়াফিনা), মেঘনা বেভারেজ (সুপার ফ্রেশ), পারটেক্স বেভারেজ (মাম), সিটি গ্রুপ (জীবন), আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (স্পা) এবং প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড (প্রাণ)।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উৎপাদন খরচ আর খুচরা দামের মাঝখানের ১৩-১৪ টাকা উৎপাদনকারী, ডিস্ট্রিবিউটর এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মধ্যে ভাগ হচ্ছে। মুনাফার ভাগ সবচেয়ে বেশি খুচরা বিক্রেতার। তথ্যমতে, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির তুলনায় ডিস্ট্রিবিউটর ও পাইকারি ব্যবসায়ীর মুনাফা বেড়েছে ১ দশমিক ৩৫ গুণ। খুচরা বিক্রেতার ক্ষেত্রে তা বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৪ গুণ পর্যন্ত।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘দূরেই থাকবে বিএনপি জামায়াত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরে চলার ইতিহাস ৪৬ বছরের পুরনো আর রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক প্রায় দুই যুগের। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে এ সম্পর্ক টিকে ছিল। টানা ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটির দৃশ্যত কোনো কর্মকাণ্ড নেই।
এই সুযোগে রাজনীতির ফাঁকা মাঠে নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে হাজির করতে চাইছে জামায়াত। একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপিকে এড়িয়ে নানা ইস্যুতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে দলটির শীর্ষ নেতাদের। দিন যত যাচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তত বাড়ছে। বিএনপিও দূরত্ব ঘোচানোর চিন্তা বাদ দিয়ে অন্যান্য দল নিয়ে এগোতে চাইছে।
বিএনপির সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আলোচনা করেছেন নীতিনির্ধারকরা। নেতারা বলেছেন, জামায়াত বিএনপির কৌশলগত মিত্র ছিল। জোট বিলুপ্ত হওয়ার পর সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনেও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ছিল। হাসিনার পতন হয়েছে। দৃশ্যত জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতি এখন এক নয়। একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক দলের যে সম্পর্ক থাকে, এখন দল দুটির সম্পর্ক সে রকমই। আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কৌশলগত থাকবে। সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগী হবে না বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে দেশ রূপান্তরকে জানান, ধারণা করা হচ্ছিল ৫ আগস্টে রাজনীতির হিসাবনিকাশ পাল্টে গেছে। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। পাশের একটি দেশ তাদের সহযোগিতা করছে বলে ধারণা। এখন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্বের কথা প্রকাশ্যে এলে আওয়ামী লীগ ও অন্য মহলগুলো এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। বিএনপি সে সুযোগ দিতে চাইছে না। তাই জামায়াতের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্য হলেও প্রকাশ্যে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
ঠিকানা/এসআর