এরইমধ্যে গোটা দুনিয়া জেনে গেছে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ড। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই দায় স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তীর ইসরাইলের উপরে ছুড়েছেন কেউ কেউ। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নজীরবিহীন হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা, সেসময় হামাসের এই নেতা সহ সংগঠনটির অন্যান্যদেরও হত্যার হুমকি দেয় ইসরাইল। সেই সূত্রে হত্যাকারীদের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলকেই সন্দেহের প্রথমে রাখতে চাইছে অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে এই ইসমাইল হানিয়া। কিভাবে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বছরের পর বছর ধরে হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে কাতারে বসবাস করতেন হানিয়া। সেখান থেকেই তিনি হামাসকে পরিচালনা করতেন। ১৯৮০ এর দশকের শেসের দিকে হামাসের র্যাডিক্যাল অপারেশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
এছাড়া সেসময় ইসরাইলি বাহিনীর কাছে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন হামাসের ওই নেতা। ১৯৯২ সালে জেল থেকে তাকে হামাসের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননের একটি জনমানবশূন্য একটি স্থানে নির্বাসিত করা হয়। এর এক বছর পর তিনি গাজায় ফিরে আসেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ ইয়াসিনের অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
২০০৬ সালে যখন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর এবং গাজায় সংসদীয় নির্বাচন করেছিল, তখন হানিয়া হামাসের সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হন। সেসময় ইসলামপন্থী দল নির্বাচনে বিস্ময়করভাবে বিজয় অর্জন করে এবং হানিয়া ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী’নির্বাচিত হন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যে এ বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় এবং তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট আব্বাস হামাস সরকার ভেঙ্গে দেন।
ঠিকানা/এসআর