ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিমুল ভূঁইয়ার সহযোগী সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
২৮ মে (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের রায়পাড়া বাবলাতলা এলাকার একটি মৎস্য হ্যাচারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় নম্বরসহ মোবাইল ফোন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। যশোর ডিবি পুলিশের দাবি, সাইফুল মেম্বার বাবলাতলার সেই হ্যাচারিতে পাঁচদিন ধরে অবস্থান করছিলেন।
এদিকে ক্লু লেস এই হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পরে ২৮ মে (মঙ্গলবার) নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের দলা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি এমপি আনারের মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ কিনা, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছে দুই দেশের গোয়েন্দা বাহিনী।
গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি এমপি আনারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল সেই আবাসিক ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের দলা উদ্ধার করা হয়। সেপটিক ট্যাংকের তলায় মাংসের টুকরাগুলো জমা হয়েছিল। সঞ্জীভা গার্ডেনের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাংসগুলো ছোট ছোট করে টুকরা করা। তরল পয়ঃবর্জ্যের মধ্যে থেকে সেগুলো অনেকটা ফ্যাকাশে এবং নরম হয়ে গেছে।’
এমপি আনার হত্যায় জড়িতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব, এমন দাবি করেছেন কলকাতায় অবস্থানরত ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। এমপি আনার যে ফ্ল্যাটে ছিলেন সেখানকার সুয়ারেজ লাইন ভেঙে অভিযান চালানোর কথাও জানান হারুন। অন্যদিকে হত্যার মূলহোতা কসাই জিহাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন খালে অভিযান চালাচ্ছে কলকাতা সিআইডি।
এসব মাংসের টুকরা এমপির আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের কিনা তা জানা যাবে ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর। এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি বাংলাদেশ কিংবা কলকাতা পুলিশ।
ঠিকানা/এএস